নিজস্ব চিত্র।
এক দিনে ঠাসা কর্মসূচি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ক্যানিংয়ে সভা করার পরই তৃণমূল নেত্রী শনিবার পৌঁছে যান তারকেশ্বরে। সেখানে সভা করেন তিনি। একনজরে দেখে নিন তারকেশ্বর থেকে কী বললেন মমতা।
৩.২৯ ভোটের মেশিন ভাল করে দেখে নিন। প্রথমে ৩০টি ভোট দেখে নেবেন, কোথায় কোন ভোট পড়ছে। ভোট পাহারা দেওয়ার সময় দেখবেন, কোথাও যেন কারওর থেকে কিছু খাবেন না। ভোটি জিতলে আমি খাওয়াবো। পুলিশ হুমকি দিলে, বিজেপি টাকা দিলে ভিডিয়ো রেকর্ড করুন। ভাইরাল করে দিন।
৩.২২ বাংলা বাংলাতেই থাক। সেই জন্য বিজেপি-কে একটিও ভোট দেওয়া চলবে না। খেলব, লড়ব, গড়ব, জিতব। প্রথমে বাংলা থেকে বিজেপি-কে খালি করব, তারপর দিল্লি থেকে বিজেপি-কে খালি করবেন সাধারণ মানুষ।
৩.২০ ভোলে বাবা পার লাগাও, বাংলা ভাগ রুখে দাও। একটু বিজেপি-র গুন্ডাদের রুখবেন মেয়েরা। পুলিশ ভয় দেখালেও ভয় পাবেন না। মেয়েরা সামনে থেকে লড়াই করবে না। হাতাখুন্তি নিয়ে খেলা হবে। বিজেপি-র মাঠ খালি করতে হবে। এমন করে ভোট দেবেন, বিজেপি যাতে বোল্ড আউট হয়ে যায়। ওরা পাপী, ওদের ভোট দেবেন না। বাংলা কথাটা বলতে ওদের লজ্জা লাগে। আর নির্বাচনের আগে যত গ্যাস। ভোটের আগে টাকা দিলে নিয়ে নেবেন, ভোটের বাক্সে উল্টে দেবেন। বিজেপি-কে উল্টে দিন, ভাল করে উল্টে দিন।
৩.১৭ জোড়াফুল ওদের মতো পচা ফুল নয়। ওদের ফুলে আটটি পাপড়ি, আটটা দফায় নির্বাচন। ওরা বজ্জাতের দল। নজরুল, রবীন্দ্রনাথের বাংলাকে ওরা ভাগ করতে চাইছে। দেশভাগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ওরা কাউকে মানে না। ওরা স্বামী বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণের ধর্ম মানে না। আমরা দুর্গাপুজো, কালীপুজো, লক্ষ্মীপুজো করি। ওদের বলুন, তোরা তো মা দুর্গাকেও গালাগালি দিস। তোদের লজ্জাও করে না। তোরা নারী বিরোধী। আমরা নিয়মিত চণ্ডীপাঠ করি, ওদের বলুন মন্ত্র বলতে, একটাও পারবে না।
৩.১৬ দেশ কী করে চলছে তার ঠিক নেই, বাংলা দখল করবে। আমি বলছি, আগে দিল্লি সামলা, তারপর দেখবি বাংলা। বাংলার শিক্ষাকে যদি রাখতে হয়, সভ্যতা, সংস্কৃতিকে রাখতে হয়, তাহলে বিজেপি-কে ভোট দেবেন না। শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছে ওরা। পৌষ মেলা বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলাকে হলে জোড়াফুলে সব ভোট দিতে হবে।
৩.১৩ নোটবন্দির টাকা কোথায় গেল নরেন্দ্র মোদীকে জবাব দিতে হবে। সব সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিচ্ছে, কৃষকদের জমি কেড়ে নিচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের গরীব মানুষের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। আপনার বাড়িতে বাঘ ঢুকলে পাশের অন্য ধর্মের মানুষের বাড়িতে ঢুকবেন না? আমপান যখন এসেছিল, তখন কি ধর্ম দেখে এসেছিল। বিজেপি একটা অপদার্থ দল। শুধু দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ নয়, গুজরাতও তাকিয়ে আছে, ভারত কী করছে। এরা একজন চেসেস্কু, আরেকজন হচ্ছে হিটলার।
৩.১০ নন্দীগ্রামে আমাকে বলল বাইরের লোক, এখন গদ্দাররা হয়ে গেল দেশের লোক? অনেক অত্যাচার করেছে। নন্দীগ্রাম আমাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। নন্দীগ্রামে আমি চোখের সামনে দেখেছি সব। পরিস্থিতির কথা বলতে এক তৃণমূলের সমর্থক যুবক আমার কাছে এসেছিল। বিজেপি-র লোকেরা দলের সমর্থকদের অপহরণ করার হুমকি দিয়েছিল। উত্তরপ্রদেশ, বিহারের গুন্ডাদের নিয়ে এসেছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাণ্ডব করেছে। আমি যে বুথের বাইরে বসেছিলাম, তার বাইরে বিজেপি আমায় ঘিরে রেখেছিল। নন্দীগ্রামে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করেছে বিজেপি।
৩.০০ তারাপীঠ, তারকেশ্বর, দক্ষিণেশ্বর-সহ একাধিক তীর্থ স্থানের উন্নয়ন করেছে তৃণমূল সরকার। অনেক মন্দির উন্নয়নের কাজ করেছে তৃণমূল। তারকেশ্বর জুড়ে বাসস্ট্যান্ডের উন্নয়ন, আলোর কাজ, মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরকে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। চন্দননগরে আলো হাব তৈরি হয়েছে। ধনেখালিতে তাত সাথী আছে, তৈরি হবে তাত হাব। প্রতিবছর সরকার তাঁতিদের কাছ থেকে দ্রব্যাদি কিনছেন। এখনই আগামী তিন বছরের অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy