প্রতীকী ছবি।
পশ্চিমবঙ্গের ভোটে বিশেষ নজরদারির বন্দোবস্ত করল এআইসিসি। সেই পর্যায়ে এ বার জেলা স্তরেই ভিন্ রাজ্যের নেতাদের পর্যবেক্ষক পদে নিয়োগ করল তারা। ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়ে গেলেও এখনও বামফ্রন্ট, কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর জোটে আসন সমঝোতা হয়নি। বরং রবিবারের ব্রিগেডে জোট নিয়ে আব্বাস সিদ্দিকি কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সুর চড়ানোয় সেই জট বেড়েছে। এই ধরনের সমস্যা মেটাতে রাজ্যের ২৮টি জেলায় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল। বিহার, ছত্তীসগঢ়, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, আন্দামান নিকোবর, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত ও ঝাড়খণ্ডের নেতাদের বিভিন্ন জেলায় ভোটের জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষক পদে নিয়োগ করেছেন তিনি।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ছিলেন এ রাজ্যের প্রবীণ কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। সেই সময় তাঁকে ফোন করে পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরিস্থিতি ও জোট প্রসঙ্গে জানতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। দলনেত্রীকে জোটের পরিস্থিতি নিয়ে অবগত করেছিলেন প্রদীপ। সূত্রের খবর, সনিয়া জোটের বর্তমান পরিস্থিতি জানার পরেই এআইসিসি নেতৃত্ব এবিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। পশ্চিমবঙ্গে জোটের বিষয়ে বেণুগোপালকে হস্তক্ষেপ করতে বলা হয়। সর্বোচ্চ নেত্রীর নির্দেশ পেয়েই ২৮টি জেলায় পর্যবেক্ষক নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছেন বেণুগোপাল। সোমবার সকালেই পর্যবেক্ষকদের তালিকা ঘোষণা করে এআইসিসি। দুপুরে জানানো হয়, দক্ষিণ কলকাতার পর্যবেক্ষক গুজরাতের কংগ্রেস নেতা কৈলাস গডভি এই দায়িত্ব নিতে পারছেন না। খুব শীঘ্রই বিকল্প পর্যবেক্ষকের নাম ঘোষণা করা হবে।
আগেই এআইসিসি ও সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে জোট গঠনের বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই জোটে আব্বাসের দল আইএসএফ ঢুকে পড়ায় আসন বণ্টন নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু হয়। বাম-কংগ্রেস— দুই শিবিরকেই তাদের ভাগ থেকে আব্বাসের দলকে আসন ছাড়তে হচ্ছে। সিপিএম বামফ্রন্টের বড় শরিক হিসেবে আইএসএফের সঙ্গে আসন বণ্টন চূড়ান্ত করে ফেললেও, কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়টি এখনও ঝুলে রয়েছে। বামফ্রন্ট নিজেদের ঝুলি থেকে ৩০টি আসন ছেড়ে দিয়েছে আইএসএফ-কে। কংগ্রেস এখনও আসন ছাড়া নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা না করায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঝুলে রয়েছে। সোমবার বিধান ভবনে জোটের জট খুলতে বৈঠকে বসেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, সূর্যকান্ত মিশ্র, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ। সেখানে কোনও সমাধান সূত্র বার হয়নি। রাজ্য কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘ভোটে জেলায় এআইসিসি পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে বুঝিয়ে দিয়েছে তারা প্রতিটি পদক্ষেপের ওপর নজর রাখছে। তাই সাবধানে কাজ করতে হবে আমাদের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy