ঐশী ঘোষ। ফাইল চিত্র।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষকে দু্র্গাপুর (পূর্ব) কেন্দ্রে ‘সংযুক্ত মোর্চা’র প্রার্থী করা হবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে জেলা বামফ্রন্ট সূত্রে। বয়সজনিত কারণে ওই কেন্দ্রের বর্তমান বিধায়ক তথা প্রবীণ সিটু নেতা সন্তোষ দেবনাথ এ বার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলেই সিপিএম সূত্রে খবর। সিপিএম নেতৃত্বের একাংশ ওই কেন্দ্রে দুর্গাপুরের বাসিন্দা তথা এসএফআই নেত্রী ঐশীকে প্রার্থী করতে চেয়ে দলে প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা কেউ করেননি। ঐশীর অবশ্য এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া, ‘‘প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরেই এই বিষয়ে মন্তব্য করা উচিত হবে।’’ গত বার দুর্গাপুরের দু’টি কেন্দ্র ভাগাভাগি করে নিয়েছিল কংগ্রেস ও বামেরা। এ বারও সেই রকম ভাগই থাকতে পারে বলে জোট সূত্রে ইঙ্গিত।
তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিদের আরও বেশি করে নির্বাচনী লড়াইয়ে আনতে চায় বামফ্রন্ট। তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিদের মধ্যে ঐশী সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে দাবি জেলা সিপিএমের। বছর দু’য়েক আগে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘হামলা’য় ঐশীর মাথা ফাটার ঘটনায় তিনি রাতারাতি সংবাদ শিরোনামে এসেছিলেন। তার পরে বাম ছাত্র-যুব আন্দোলনেও নিয়মিত দেখা গিয়েছে তাঁকে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বাম-কংগ্রেসের যৌথ ব্রিগেড সমাবেশে কিছুক্ষণের জন্য বক্তৃতা করার সুযোগও দেওয়া হয়েছিল ঐশীকে। সিপিএম জেলা নেতৃত্বের একাংশ মনে করছেন, ঐশীকে বিধানসভা ভোটে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরতেই তাঁকে দিয়ে বক্তৃতা করানো হয়।
ঐশী প্রার্থী হলেও ওই আসনে বামেরা আদৌ কতটা ‘বাড়তি’ সুবিধা পাবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে রাজনৈতিক মহলের একাংশের। কারণ, তাঁদের দাবি, জেএনইউ-এর ঘটনা ঐশীকে পরিচিতি দিলেও তিনি জেলা রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন। দুর্গাপুরে রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও তাঁকে সে ভাবে দেখাও যায়নি। গত বছরের ২৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের দিন পুলিশের হাতে সিপিএমের নেতা-কর্মীরা আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ ওঠে। তার বিরুদ্ধে যে আন্দোলন হয়, তাতেও ঐশীকে দেখা যায়নি। এ দিকে, অঙ্কের হিসেবে গত লোকসভা ভোটের নিরিখে দুর্গাপুর পূর্ব আসনটি বামেদের কাছে অত্যন্ত কঠিন। সে বার ওই কেন্দ্রে বাম-কংগ্রেসের মিলিত ভোট মাত্র ৩৩,৮৮৩। বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯০, ৪৫৫। তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছিল ৬৩,৮৬৪টি। ফলে, এমন কঠিন একটি কেন্দ্রে ঐশীকে প্রার্থী করে ভোট বৈতরণী পার করা আদৌ সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বাম কর্মী-সমর্থকদের একাংশের মধ্যেও।
এ বিষয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকারের বক্তব্য, ‘‘রাজ্য ও জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব প্রার্থী ঠিক করেন। দুর্গাপুর পূর্ব আসনে কে প্রার্থী হবেন, সে ব্যাপারে কোনও সুর্নিদিষ্ট তথ্য আমাদের কাছে নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy