(বাঁ দিকে) মালা রায় এবং হাজি নুরুল ইসলাম। —ফাইল চিত্র
বুধবার তৃণমূলের দুই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সরব হয়েছিল বিজেপি। তাদের অভিযোগ ছিল, বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম তাঁর মনোনয়নের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ‘নো ডিউজ় সার্টিফিকেট’ জমা দেননি। আর দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী মালা রায় কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন পদে থাকা সত্ত্বেও লোকসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। যা ‘অফিস অফ প্রফিট’-এর আওতাধীন। দুই প্রার্থীর প্রার্থিপদ বাতিলের দাবির মধ্যে হাজি নুরুলের বিষয়টি নজরে এসেছে এ বারের লোকসভা ভোটে প্রার্থী হওয়া বিধায়কদেরও।
চলতি লোকসভা ভোটে বেশ কয়েক জন তৃণমূল এবং বিজেপি বিধায়ক প্রার্থী হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ১৮টি আসনে ভোট হয়ে গিয়েছে। আরও ২৪টি আসনে ভোট বাকি। বাকি আরও তিন দফা ভোট। সেই তালিকায় রয়েছেন মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল ও তৃণমূলের জুন মালিয়া। তাঁরা দু’জনেই বিধায়ক। রয়েছেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী মন্ত্রী তথা নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। বারাসতের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার এবং বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীও বিধায়ক। ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও বিধায়ক।
বুধবার দুপুরের পর মালা-নুরুলের মনোনয়ন বাতিলের দাবির কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই বিধায়কেরা নিজ নিজ পরিষদীয় দলের কাছে ফোন করে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। পাশাপাশিই তাঁরা মনোনয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত নিজের নিজের দলের নেতাদের কাছেও খোঁজখবর নিয়েছেন ‘নো ডিউজ় সার্টিফিকেট’ প্রসঙ্গে। তাঁদের মনোনয়নে ওই সার্টিফিকেট জমা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হয়েছেন প্রার্থীরা। বিধায়ক যাঁরা আছেন, তাঁরা তো বটেই, যাঁরা বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদেরও ‘নো ডিউজ় সার্টিফিকেট’ জমা দিতে হয়েছে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে। তাপস রায়, বিশ্বজিৎ দাস, কৃষ্ণ কল্যাণী ও মুকুটমণি অধিকারী বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে লোকসভা ভোটে লড়ছেন, তাঁদেরও ওই শংসাপত্র জমা দিতে হয়েছে নির্বাচন কমিশনে।
একদা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য দুই তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণনগরের মহুয়া মৈত্র ও মুর্শিদাবাদের আবু তাহের খান (যাঁরা দু’জনেই এখন সাংসদ এবং এ বারের ভোটেও প্রার্থী) এ বারও বিধানসভা থেকে ‘নো ডিউজ় সার্টিফিকেট’ নিয়ে গিয়েছেন। উল্লেখ্য, ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী, কেউ এক বার কোনও আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হলে তিনি বহু সরকারি সুযোগ-সুবিধা পান। নামমাত্র মূল্যে অনেক পরিষেবাও পেয়ে থাকেন পেয়ে থাকেন দেশের সাংসদ-বিধায়কেরা। পরবর্তী সময়ে তাঁরা কোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গেলে সরকারি তরফে নেওয়া কোনও সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে যে মূল্য দেওয়ার কথা ছিল, তা মেটানো হয়েছে কি না, তা জানানো বাধ্যতামূলক। হাজি নুরুল ২০০৯ সালে বসিরহাট থেকে সাংসদ হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৪ সালের তাঁর সাংসদ পদের মেয়াদ শেষে সময় তিনি নিজের বকেয়া মিটিয়েছিলেন কি না, সেই মর্মে তিনি ‘নো ডিউজ় সার্টিফিকেট’ এ বারের মনোনয়নের সময় জমা দেননি। যদিও বিজেপির আনা ওই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy