—প্রতীকী ছবি।
এ বারের লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যের জটিল বা উপদ্রুত (ক্রিটিকাল) ভোটকেন্দ্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে গত পঞ্চায়েত ভোটের ঘটনাকে গুরুত্ব দিতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। প্রশাসন সূত্রের খবর, গত পঞ্চায়েত ভোটের তথ্য ধরে নতুন করে এই ধরনের ভোটকেন্দ্র বেছে তালিকা পাঠাতে হয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। ফলে মনে করা হচ্ছে, গোটা রাজ্যে এমন ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়তে পারে ২৫-৩০%। সমান্তরালে বাড়তে পারে কমিশনের সরাসরি নজরদারি বা নিরাপত্তার বাঁধুনিও। এমন পদক্ষেপের নজির অতীতে রয়েছে কি না, মনে করতে পারছেন না প্রবীণ আধিকারিকদের অনেকে।
চলতি মাসের গোড়ায় কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে এসেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল, শুধুমাত্র বিগত লোকসভা বা বিধানসভাই (সরাসরি যা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে) নয়, বরং গত পঞ্চায়েত ভোটের (যা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অধীনস্থ) অভিজ্ঞতাও লোকসভার ভোট প্রস্তুতিতে কাজে লাগানো হবে। তখনই একেকটি জেলার তথ্য ধরে ধরে হিংসা বা ভোটে গরমিলের তথ্য সামনে এনে জেলা-কর্তাদের প্রশ্নের মুখে ফেলেছিলেন কমিশন-কর্তারা। জেলা প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, যদিও তার আগেই কোন জেলায় কত ‘ক্রিটিকাল’ বুথ রয়েছে, তার তথ্য রিপোর্ট আকারে তৈরি করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল কমিশনের কাছে। ভোট ঘোষণার পরে ফের নতুন করে নির্দেশ পেয়ে তা খতিয়ে দেখা হয়। জেলা-কর্তাদের অনেকেই জানাচ্ছেন, গত পঞ্চায়েত ভোটে হওয়া হিংসা, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাওয়া এবং কম ভোটদানের হার থাকা এলাকাগুলিকে ‘ক্রিটিকাল’ বুথ হিসেবে নতুন সমীক্ষায় ধরতে হয়েছে। তাতে আগের তালিকার তুলনায় কোনও জেলায় ২০-২৫%, কোনও জেলায় ৩৫-৪০% বেড়েছে ‘ক্রিটিকাল’ বুথের সংখ্যা।
কমিশন সূত্রের বক্তব্য, ‘ক্রিটিকাল’ বুথসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘ওয়েবকাস্ট’-এর (সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভোট প্রক্রিয়ার ভিডিয়ো সরাসরি সম্প্রচারিত হবে কমিশনের কন্ট্রোলরুমে) সংখ্যাও বাড়বে। কারণ, কমিশনের নীতি অনুযায়ী, মোট বুথের ৫০% বা ‘ক্রিটিকাল’ বুথ সংখ্যা—যেটা বেশি হবে, ততগুলি ভোটকেন্দ্রে ওয়েবকাস্ট করতে হবে। কমিশনের দেওয়া প্রাথমিক হিসেবে রাজ্যে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৮০ হাজার ৪৫৩টি। যার মধ্যে গ্রামীণ ৬০ হাজার ৮৪৩ এবং শহরে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৯ হাজার ৬১০টি। এর মধ্যে ৪২ হাজার বা ৫২% বুথে ওয়েবকাস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন। নতুন করে ‘ক্রিটিকাল’ বুথের সংখ্যা (যদিও কমিশন সূত্রের দাবি, তা নিত্য পরিবর্তনশীল) বৃদ্ধি পাওয়ায় ওয়েবকাস্টের সংখ্যাও বাড়তে পারে পাল্লা দিয়ে।
এ বার এ পর্যন্ত এ রাজ্যের জন্য দেশে সর্বাধিক, ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের থেকে চেয়েছে কমিশন। প্রাথমিক পর্যায়ে ১৫০ কোম্পানি বাহিনী এসে গিয়েছে। ১ এপ্রিলের মধ্যে আরও ২৭ কোম্পানি চলে আসবে। পর্যায়ক্রমে রাজ্যে আসতে থাকবে আধা সেনা। তার মোতায়েন পরিকল্পনাও নজরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ভোট বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করছেন, মোতায়েন রূপরেখাও অনেকাংশে চূড়ান্ত হবে ‘ক্রিটিকাল’ বুথের নিরিখে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy