Advertisement
Back to
Rahul Gandhi-PM Narendra Modi

জাতগণনা: রাহুলের নিশানা প্রধানমন্ত্রীকে

রাহুলের বক্তব্যে অথবা কংগ্রেসের ইস্তাহারের ভাষ্যে বলা হয়েছে, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দলিত, আদিবাসী, ওবিসি সমাজের কোন বর্গের আয় কতটা, তা বোঝার জন্য সমীক্ষা হবে. সেই অনুযায়ী সদর্থক পদক্ষেপ হবে।

(বাঁ দিকে) কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

(বাঁ দিকে) কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:২৪
Share: Save:

কংগ্রেসের ইস্তাহারের সমর্থনে বলতে গিয়ে রাজীব গান্ধীর ঘনিষ্ঠ প্রবীণ কংগ্রেস নেতা স্যাম পিত্রোদা নরেন্দ্র মোদীর হাতে ‘উত্তরাধিকার কর’ সংক্রান্ত নতুন অস্ত্র তুলে দিয়েছেন। যার সূত্র ধরে আজ ছত্তীসগঢ়ের সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘কংগ্রেস এলে সম্পত্তি বেহাত হয়ে যাবে।’’ আর আজ সকালে রাজধানীতে সামাজিক ন্যায় সম্মেলন অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী পাল্টা আক্রমণ করেছেন মোদীকে। তাঁর বক্তব্য, “দেশভক্তেরা জাতগণনার এক্স রে-র কথায় কম্পিত। আমি জাতিভেদে উৎসাহী নই, কিন্তু ন্যায় দিতে আগ্রহী। বিষয়টি আদৌ আমার কাছে রাজনৈতিক নয়, এটা আমার জীবনের মিশন। রাজনীতির ক্ষেত্রে কিছু আপস চললেও চলতে পারে। কিন্তু জীবনের মিশনের ক্ষেত্রে তা চলে না।”

রাহুলের বক্তব্যে অথবা কংগ্রেসের ইস্তাহারের ভাষ্যে বলা হয়েছে, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দলিত, আদিবাসী, ওবিসি সমাজের কোন বর্গের আয় কতটা, তা বোঝার জন্য সমীক্ষা হবে. সেই অনুযায়ী সদর্থক পদক্ষেপ হবে। অর্থাৎ যাঁরা আয়ের দিক থেকে পিছিয়ে, উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে, আর্থিক বৃদ্ধির সুফল পাচ্ছেন না, তাঁদের আর্থিক ক্ষমতায়নের চেষ্টা করবে কংগ্রেস। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চাকরিতে সমান সুযোগের বন্দোবস্ত হবে। রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, বিষয়টি যে চব্বিশের লোকসভা ভোটে কংগ্রেস হঠাৎ আমদানি করেছে তা নয়। এটিই বরাবর জনকল্যাণমুখী অর্থনীতির মডেল হিসেবে কংগ্রেসের ইস্তাহারে জায়গা পেয়ে এসেছে। কিন্তু ভোটকুশলী নরেন্দ্র মোদী বিষয়টিকে ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছেন বলে মনে করছেন বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, কংগ্রেসের ইস্তাহারের বক্তব্যের কদর্থ করা হচ্ছে। ওই ইস্তাহারে কারও সম্পদ কেড়ে নিয়ে অন্যদের বিলিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়নি। আজ তাই রাহুল মোদীকে পাল্টা রাজনৈতিক ভাবে আক্রমণ করতে।

রাহুল বলেন, বিষয়টির কোনও সমাধান সূত্র তিনি দেননি। শুধু সমস্যা কোথায়, তা খুঁজে বার করতে বলেছেন। যেটা এক্স রে-র কাজ। তাঁর কথায়, “তা সত্ত্বেও জাতীয় প্রচারমাধ্যম এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী আমাকে নিশানা করছেন, মানুষ এবং দেশকে বিভাজনের দায় দিচ্ছেন। মনে হয় না, এক্স রে নিয়ে কারও কোনও সমস্যা রয়েছে। যদি চিনের মতো শক্তির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যেতে হয়, তাহলে দেশের ৯০ শতাংশ মানুষকে সঙ্গে না নিয়ে তা করা সম্ভব নয়। অথচ এই মানুষ এখনও প্রান্তিক।” তাঁর হিসাবে পিছিয়ে থাকা শ্রেণি, দলিত, আদিবাসী, সংখ্যালঘু মিলিয়ে দেশের মোট জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ। রাহুলের বক্তব্য “তা সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন সংস্থায়, তা সে বিশ্ববিদ্যালয় হোক বা মিডিয়া বা বেসরকারি হাসপাতাল, এমনকি বিচারবিভাগে, এই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব হয় শূন্য অথবা খুবই নগণ্য।” তাঁর ব্যাখ্যা, “দলের ইস্তাহারে জাতগণনার বিষয়টি রাখা এই প্রান্তিক মানুষদের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর দিশায় প্রথম পদক্ষেপ। আপনারা লিখে রাখুন, কোনও শক্তি, জাতগণনাকে আটকাতে পারবে না।”

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Congress
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy