নির্বাচন কমিশনের দফতর। —ফাইল চিত্র
কোনও ব্যক্তি ‘নো ডিউজ়’ শংসাপত্র চেয়ে আবেদন করলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা দিতে হবে। ফেলে রাখা যাবে না। সব রাজ্যের মুখ্যসচিবকে এই মর্মে নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, বীরভূম কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে প্রথমে প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক দেবাশিস ধরের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার ‘নো ডিউজ়’ শংসাপত্র না দেওয়ায় পদ্মপ্রার্থী হিসাবে তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। এই আবহে নো ডিউজ় শংসাপত্র নিয়ে কমিশনের এই নির্দেশকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, আগের ১০ বছরে সরকারের ঘরে বকেয়া আছে কি না, তা নির্দিষ্ট ভাবে জানাতে হয় প্রার্থীকে। জলের বিল, বিদ্যুতের বিল ও বাড়ি ভাড়া বাকি আছে কি না তা-ও জানাতে হয়। এই সংক্রান্ত কোনও কিছু বকেয়া না-থাকলে তবেই সরকারের তরফে ‘নো ডিউজ়’ শংসাপত্র দেওয়া হয়। দেবাশিস এবং বিজেপির অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই সরকার ওই শংসাপত্র দেয়নি।
তৃণমূলের শতাব্দী রায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে দেবাশিসকে প্রার্থী করে বিজেপি। গত ২৫ এপ্রিল বিকল্প প্রার্থী হিসাবে বীরভূমের জেলাশাসকের দফতরে গিয়ে মনোনয়ন জমা দেন দেবতনু ভট্টাচার্যও। ঠিক তার পর দিনই দেবাশিসের মনোনয়ন বাতিলের খবর জানা যায়। কমিশনের তরফে জানানো হয়, ‘নো ডিউজ় সার্টিফিকেট’ না দেওয়ায় দেবাশিসের প্রার্থিপদ বাতিল করা হয়েছে।
মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে জরুরি শুনানির আর্জি জানিয়ে প্রথমে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দেবাশিস। কিন্তু উচ্চ আদালত দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে তাঁকে ‘ইলেকশন পিটিশন’ দাখিল করতে বলে। তার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন দেবাশিস। গত সোমবার দেবাশিসের মামলায় ‘সরাসরি হস্তক্ষেপ’ করতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট। উল্টে শীর্ষ আদালত তাঁকে ভর্ৎসনা করে জানায়, ‘নো ডিউজ় সার্টিফিকেট’-এর জন্য আবেদনই করেননি প্রাক্তন এই পুলিশ আধিকারিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy