কিউয়িদের জেতার মূল কারিগর। ছবি: এপি ও রয়টার্স।
ম্যাচের আগের দিন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যানকে ‘ইয়ন রজার্স’ বানিয়ে দিয়েছিলেন ওয়েলিংটনের ব্রিটিশ মহিলা মেয়র। অফ ফর্মের ‘শিখরে’ থাকা মর্গ্যান চেয়েছিলেন নিজের নাম প্রতিষ্ঠিত করে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে জয়ের রাস্তায় ফেরাতে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল ঠিক উল্টো ছবি। ওয়েস্টপ্যাক স্টেডিয়ামে প্রথমে টিম সাউদির বল এবং পরে ম্যাকালামের ব্যাটরূপী গদার ঘায়ে শুধুমাত্র মর্গ্যান নয়, কার্যত গোটা ইংল্যান্ড দলেরই নাম ভুলে যাওয়ার জোগাড়!
শুক্রবার সকালে গ্রুপের তৃতীয় ম্যাচে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নেমেছিল ম্যাকালাম এন্ড কোং। আর প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে চূর্ণ হওয়ার পর জয়ের খরা কাটাতে নেমেছিল মর্গ্যান-অ্যান্ডারসনরা। প্রথম ম্যাচে রান তাড়া করে হারতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। এ দিন তাই টসে জিতে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে রাজি হননি মর্গ্যান। প্রথমে ব্যাট করে ফর্মে থাকা কিউয়িদের উপর বড় রানের ‘বোঝা’ চাপানোর লক্ষ্য ছিল ইংল্যান্ডের। টসে জিতে সে কথা জানান মর্গ্যান নিজেই। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল ব্যুমেরাং হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। সাউদি-বোল্টদের সামলাতে নাকানি চোবানি খেতে হল ব্রিটিশদের। দলের সাত ব্যাটসম্যানের স্কোর দু’অঙ্ক পেরলো না। অফ ফর্মের অধিনায়ক একটা চেষ্টা করলেও তাঁর ৪১ বলে ১৭-র ইনিংস একেবারেই আশ্বস্ত করতে পারল না ইংরেজ সমর্থকদের। মাত্র ৩৩.২ ওভার স্থায়ী হল ইংল্যান্ডের ইনিংস। সাউদি একাই নিলেন সাত উইকেট। এবং বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর করল ইংল্যান্ড।
১২৪ রান যে ম্যাকালমদের কাছে আহামরি কোনও লক্ষ নয়, সেটা জানা ছিল অতি বড় ইংরেজ সমর্থকেরও। ৩৩ ওভারে ইংরেজ ইনিংস শেষ হওয়ায় লাঞ্চের সময় খানিকটা পিছিয়ে দিয়েছিলেন আম্পায়াররা। কিন্তু ‘ক্ষুধার্ত’ ম্যাকালাম যে এটাকে একেবারেই ভাল ভাবে নেননি, তা বোঝা গেল কিউয়ি ইনিংস শুরু হতেই। ব্রড-অ্যান্ডারসন-ফিনদের দিয়েই ‘মধ্যাহ্ণভোজ’ সারার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। নিজের ইনিংসের দ্বিতীয় বল থেকেই শুরু হয় প্রাক্তন এই নাইটের ব্যাটের ঝড়। ২৫ বলে ৭৭ করে তিনি যখন আউট হচ্ছেন ইংল্যান্ডের পেস ত্রয়ির তখন ছেড়ে দে মা.. অবস্থা। কিউয়ি অধিনায়কের ইনিংসে ছিল সাতটি ছয় এবং আটটি চার। শুধুমাত্র ফিনের দু’ওভারেই ৪৯ রান নেন তিনি।
আট উইকেটে ম্যাচ জিতে গ্রুপে এক নম্বরেই খেকে গেল নিউজিল্যান্ড। আর দু’টি ম্যাচেই বিধ্বস্ত হয়ে বিশ্বকাপে ইংরেজদের এখন অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। বিশ্বকাপে ১৯৮৩ সালে শেষ বার নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। ৩২ বছরেও সেই গেড়ো কাটাতে পারলেন না মর্গ্যানরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy