ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে রাজনাথ সিংহ এবং নীতীশ কুমার। ছবি: পিটিআই।
বিহারে ঝড়বৃষ্টিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৫। আহত অন্তত ৮০ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ণিয়া জেলা। সরকারি হিসেবে, ঝড়ে এই জেলাতেই প্রাণ হারিয়েছেন ৩৮ জন। সাত জন মারা গিয়েছেন মাধেপুরায়। ঝড়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে মধুবনিতে। দু’জন করে প্রাণ হারিয়েছেন দ্বারভাঙা, সীতামঢ়ী এবং কাটিহারে। সুপুয়াল থেকে এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
শুক্রবার হেলিকপ্টারে পূর্ণিয়া-মাধেপুরার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ, কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী রাধামোহন সিংহ, বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার মোদী এবং রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা। রাজনাথ বলেন, “নীতীশ সরকারের পাশে আছে কেন্দ্র। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে রাজ্যকে সব রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত কেন্দ্র।”
শুক্র এবং শনিবার, দু’দিনই রাজ্যের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে ঝড় এবং বজ্রবিদুত্-সহ বৃষ্টির সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের বিশেষ সচিব অনিরুদ্ধ কুমার জানিয়েছেন, ১২টি জেলার জেলাশাসকদের কাছে এই সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনকে আপত্কালীন ব্যবস্থা তৈরি রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মেডিক্যাল টিমকেও প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। পূর্ণিয়া, কাটিহার, কিষাণগঞ্জ এবং মোতিহারি জেলায় বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
বুধবার রাতে কালবৈশাখী আছড়ে পড়ে পূর্ণিয়ায়। প্রায় ৭০ থেকে ১০০ কিমি বেগে ঝড় বয়ে যায়। সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাত। যার পরিমাণ ছিল ৩০ মিলিমিটার। ঝড়ের তাণ্ডবে উপড়ে যায় গাছ, ঘরবাড়ির চাল উড়ে যায়, ধসে পড়ে বহু মাটির বাড়ির দেওয়াল। ক্ষতি হয় ফসলেরও। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে পলিথিন, খাদ্য, পানীয় জল এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ২ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy