বাবু মণ্ডল।
গোঁফ দাড়ি কেটে ‘নিট অ্যান্ড ক্লিন’। মাথার চুলও ছোট করে ছাঁটা। এক ঝলক দেখে চেনা লোকও চিনতে কিছু সময় নেবেন হয়তো। কিন্তু এত করেও শেষ রক্ষা হল না। বাধ সাধল চির পরিচিত সেই সাদা জামা! চেনা চেনা মুখ এবং তার সঙ্গে পরনের সাদা জামার সৌজন্যেই পুলিশের কাছে কাজটা সহজ হয়ে গেল। ধরা পড়ল মধ্যমগ্রাম খুন কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত বাবু মণ্ডল।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে বাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন ট্রেন ধরে ভিন্ রাজ্যে পালানোর উদ্দেশ্য ছিল তার। আগে থেকে পুলিশের কাছে খবর থাকায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশের একটি দল আগে থেকেই শিয়ালদহ স্টেশনে উপস্থিত ছিল। এর আগে বারবার পুলিশের চোখে ধুলো দিতে সক্ষম হলেও এ বার আর তা হল না। দিন দু’য়েক আগে পুরুলিয়ার এক অতিথিশালা থেকে শেষ মুহূর্তে পালায় বাবু। নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা অনিকেত রায় এবং মধ্যমগ্রামের শিশিরকুঞ্জের বাসিন্দা সঞ্জয় সিকদারের সঙ্গে খুনের পরেই পালিয়ে ওই অতিথিশালায় আশ্রয় নিয়েছিল সে। বাবু পালিয়ে গেলেও অনিকেত এবং সঞ্জয়কে সে দিন গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে গোঁফ দাড়ি কেটে ফেললেও ট্রেডমার্ক সাদা জামাটি ছাড়তে পারেনি বাবু।
৭ মে সন্ধ্যায় মধ্যমগ্রাম ফ্লাইওভারে জমি-মাফিয়া বাবু সেন তাঁর এক সঙ্গী-সহ দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন। শাসকদলের এক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বাবু মণ্ডল এই খুনের নেপথ্যে রয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। প্রথমে সংবাদমাধ্যমের কাছে খুনের সঙ্গে তার যুক্ত থাকার কথা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিলেও পরে অবশ্য গা ঢাকা দেয় সে। মোবাইল ফোন ব্যবহার না করায় সহজে তাঁর হদিশ পাচ্ছিল না পুলিশ। তবে জেলা পুলিশের তদন্তকারী দল তার গতিবিধির উপরে নজর রেখেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy