প্রতীকী ছবি।
শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত পোর্টাল ‘উৎসশ্রী’ আবার কবে চালু হবে তা নিয়ে বছর শেষেও রইল ধোঁয়াশা। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পোর্টাল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা আগেই জানানো হয়েছিল। তবে নতুন বছরেও ওই পোর্টাল না-খোলার সম্ভাবনা রয়েছে বলে শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। তার প্রধান কারণ, এখনও পর্যন্ত উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। আর কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না-হওয়া পর্যন্ত পোর্টাল খোলা হবে না বলেই শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর।
ওই পোর্টাল যে আরও কিছু দিন বন্ধ থাকতে পারে, সে কথা জানিয়েছেন স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারও। তিনি বলেন, “উৎসশ্রী পোর্টাল বন্ধের মেয়াদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রবল। কারণ, এখনও পর্যন্ত উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। এ ছাড়া আদালতেরও বেশ কিছু রায় রয়েছে। এর মধ্যে যদি ওই পোর্টাল খুলে দেওয়া হয়, তা হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।”
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। সেখানে অনুরোধ করা হয়েছে, শিক্ষা দফতর যেন নতুন বছরের শুরু থেকে ওই পোর্টালটি খুলে দেয়। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ‘উৎসশ্রী’ বন্ধ করা হয়। সেই সময় দফতরের তরফে জানানো হয়, উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া তরান্বিত করতে পোর্টালটি বন্ধ রাখা হবে কিছু দিনের জন্য।
চলতি বছরের নভেম্বর থেকে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের ক্ষেত্রে কাউন্সেলিং শুরু হয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সেই কাউন্সেলিংয়ের প্রথম দফার কাজ শেষও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ হয়নি কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া। আর এখানেই শিক্ষক মহলের আশঙ্কা যে, পোর্টাল খোলার ক্ষেত্রে আরও সময় লাগবে।
উৎসশ্রী পোর্টাল বন্ধ হওয়ার আগে বহু শিক্ষকই সেখানে বদলির জন্য আবেদন করেছিলেন। সে সবের সমাধান না করে পোর্টালটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সমস্যায় পড়েন বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা। ইতিমধ্যে সমস্যার সমাধান খুঁজতে অনেকেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। আদালতের নির্দেশে কয়েক জনের বদলিরও বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আর এখানেই প্রশ্ন তুলছে শিক্ষক সংগঠনগুলি।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “পোর্টাল বন্ধের আগে যারা দরখাস্ত করেছিলেন, বদলির ক্ষেত্রে তাঁদের সমস্যা মিটিয়ে ফেলা উচিত ছিল শিক্ষা দফতরের। তা না-করে আইনি জটিলতা তৈরি করেছে সরকার। দ্রুত এর সমাধান হওয়া উচিত।”
শিক্ষা মহলের একটা বড় অংশ মনে করছে, ‘মিউচুয়াল ট্রান্সফার’-এর ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু শিক্ষা দফতরের সদিচ্ছার অভাবেই জটিলতা তৈরি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy