সংগৃহীত চিত্র।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের একটি বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি সরকারি এবং সরকারপোষিত স্কুলে আসনবৃদ্ধি নিয়ে। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার সংসদের তরফে এমন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাংসদ কিংবা বিধায়কের সুপারিশ মিললেই সরকারি এবং সরকারপোষিত স্কুলগুলিতে অতিরিক্ত ১০০ জন পড়ুয়া ভর্তি হতে পারবে।
সংসদের তরফে ৭ মে প্রকাশিত প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, জেলা পরিদর্শকের সুপারিশে ১০০ জন অতিরিক্ত পড়ুয়া সরকারি এবং সরকারপোষিত স্কুলে ভর্তি হতে পারবে। সেখানে অন্যান্য ক্ষেত্রে কত পড়ুয়া ভর্তি নেওয়া যেতে পারে, সেই বিষয়ে তথ্য প্রকাশিত হয়েছিল। পাশাপাশি, শিক্ষা সংসদের তরফে ভর্তি হতে আগ্রহীদের তথ্য যাচাই করা হবে, এমনটাও জানানো হয়েছিল।
এই বিষয়ে নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে শিক্ষকমহলের একাংশে। কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, “এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি আগে কখনও দেখিনি। তা হলে কি বাড়তি ভর্তির ক্ষেত্রে একা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের মতামতের উপর নির্ভর করা যাচ্ছে না?”
শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারীর প্রশ্ন, স্কুল স্তরের শিক্ষাক্ষেত্রে কেন বিধায়ক, সাংসদদের সুপারিশের ভিত্তিতে সুযোগ দেওয়া হবে? তিনি আরও বলেন, “বিদ্যালয় শিক্ষার প্রাঙ্গণে সরাসরি রাজনৈতিক পক্ষের হস্তক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করছি আমরা।”
এই নির্দেশ প্রত্যাহার করার আবেদন জানিয়েছেন বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল। তিনি বলেন, “স্কুলগুলিতে অতিরিক্ত ছাত্রছাত্রী পড়ানোর জন্য উপযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন কি না, যথাযথ পরিকাঠামোর ব্যবস্থা রয়েছে কি না, তা দেখার জন্য বাম আমলে অতিরিক্ত ছাত্রছাত্রী ভর্তির অনুমতি দেওয়া হত। তবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এই সিদ্ধান্তে আমরা সত্যি অবাক। সাংসদ, বিধায়কেরা সুপারিশ করলেই বেশি ছাত্রছাত্রী ভর্তি নিতে হবে! স্বাধীন ভারতে কোনও সরকার এ রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এমনটা জানা নেই। এর থেকে দুর্ভাগ্যজনক আর কিছু হতে পারে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy