প্রতীকী চিত্র।
সামনেই জীবনের অন্যতম বড় পরীক্ষা, উচ্চ মাধ্যমিক। পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ছাত্রছাত্রীদের মনে অল্পবিস্তর ভয় কাজ করবেই। বিশেষত রসায়নের প্রশ্ন নিয়ে শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি চিন্তায় পড়ে যায়। কিন্তু সঠিক ভাবে বিষয়টাকে বুঝে যদি পরীক্ষার আগেই পড়ে ফেলা যায়, তা হলে ভাল নম্বর পাওয়া খুব কঠিন কাজও নয়।
এ ক্ষেত্রে প্রথমেই বুঝে নিতে হবে, রসায়নের ক্ষেত্রে ৩০ নম্বরের প্র্যাকটিক্যাল এবং ৭০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে। এর মধ্যে ১৪ নম্বরের মাল্টিপ্ল চয়েস কোয়েশ্চন (এমসিকিউ) থাকে, যেখান থেকে পুরো নম্বরের উত্তর দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই পাঠ্যবই খুঁটিয়ে পড়লে এই বিভাগের প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর লেখা সম্ভব। একই সঙ্গে ৪ নম্বরের শর্ট অ্যানসার টাইপ কোয়েশ্চন (এসএকিউ) প্রশ্ন থাকবে। সেখানেও পুরো নম্বর পাওয়ার লক্ষ্য রাখতে হবে।
কারণ বাকি ৫২ নম্বর ভাগ হয় বড় প্রশ্ন এবং গাণিতিক সমাধানের মতো বিষয়ে। এখানে পাঁচ নম্বরের তিনটি প্রশ্ন, তিন নম্বরের ন’টি এবং দু’নম্বরের পাঁচটি প্রশ্ন থাকছে। এই প্রশ্নগুলির উত্তর যথাযথ পরিমিত হলে, যিনি খাতা দেখবেন, তিনি আরও মনোযোগ দেবেন। তবে স্পষ্ট ভাবে না লিখতে পারলে, নম্বর পাওয়ার সুযোগটা কমে যায়।
তবে, খুব ভাল নম্বর পেতে হলে পাঠ্যক্রম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা প্রয়োজন। খুঁটিয়ে পাঠ্যবই পড়ার পাশাপাশি নিয়মিত অনুশীলনের চর্চা বজায় রাখা জরুরি। সে ক্ষেত্রে আগের কয়েক বছরের প্রশ্নপত্র ও বিভিন্ন নমুনাপত্রের সমাধানের উপর শিক্ষার্থীদের জোর দিতে হবে।
নিয়মমাফিক পড়াশোনার অভ্যাস রাখলে পড়া সহজেই মনে থাকবে। রসায়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সূত্র, তার প্রয়োগের কৌশল রপ্ত করাটাই আসল লক্ষ্য। সেটা মাথায় থাকলে পরীক্ষার সময় খুব বেশি দুশ্চিন্তা হবে না। চেনা শব্দের ভিড়ে কোনও অচেনা শব্দ চোখে পড়লে ঘাবড়ে গেলে চলবে না। প্রশ্ন বুঝে তবেই উত্তর লিখতে হবে। সব শেষে নিজেকে সেরা ভাবতে পারলেই পরীক্ষা ভাল ভাবে সম্পূর্ণ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy