উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম অভীক দাস। —ফাইল চিত্র ।
সফল পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছাবার্তা দিলেন ব্রাত্য বসু। তিনি লেখেন, ‘‘আজ ৬৯ দিনের মাথায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ২০২৪-এর ফল প্রকাশিত হল। পাশের হার ৯০%। সফল ছাত্রছাত্রীদের আমি আন্তরিক অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানাই। তোমরা খুব কৃতী হও,ভাল মানুষ হও, বাংলা ও বাঙালির মুখ উজ্জ্বল করো, এই কামনা রইল।’’
উচ্চ মাধ্যমিকে সফল ছাত্রছাত্রীদের বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল ছাত্রছাত্রীকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তোমাদের অভিভাবক ও শিক্ষকদেরও জানাই আমার অভিনন্দন। আগামী দিনে তোমরা আরও সফল হবে, দেশের নাম, রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করবে— এই প্রার্থনা করি। আর আজ যারা কোনও কারণে সফল হতে পারোনি, তাদের বলব ভেঙে না পড়ে মন দিয়ে চেষ্টা করো। আগামীতে তোমরাও সফল হবে। আমার অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল।’’
এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হারে এগিয়ে ছেলেরা। ছেলেদের পাশের হার ৯২.৩২ শতাংশ। মেয়েদের পাশের হার ৮৮.১৮ শতাংশ।
মেয়েদের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকে যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছেন প্রতীচী তালুকদার এবং স্নেহা ঘোষ। সব মিলিয়ে চতুর্থ স্থানে। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩। প্রতীচী কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমির এবং স্নেহা চন্দননগরের কৃষ্ণভাবিনী নারীশিক্ষা মন্দিরের পড়ুয়া। অর্থাৎ, ছাত্রীদের মধ্যে জোড়া প্রথম দুই বঙ্গের।
পাশের হার এগিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর।
কালিম্পং- ৯২.৫১ শতাংশ
কলকাতা- ৯২.১৩ শতাংশ
পশ্চিম মেদিনীপুর- ৯২.৭৮ শতাংশ
দক্ষিণ ২৪ পরগনা- ৯২.৮৭ শতাংশ
পূর্ব মেদিনীপুর- ৯৫.৭৭ শতাংশ
উত্তর ২৪ পরগনা- ৯২.০৫ শতাংশ
হুগলি- ৯১.০৬ শতাংশ
প্রথম হয়েছেন— অভীক দাস। আলিপুরদুয়ারের ম্যাকউইলিয়াম হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্র। পেয়েছেন ৪৯৬।
দ্বিতীয় হয়েছেন— সৌম্যদীপ সাহা। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের পড়ুয়া। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫।
তৃতীয় হয়েছেন— অভিষেক গুপ্ত। মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের পড়ুয়া। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪।
১৫টি জেলা থেকে ৫৮ জন পরীক্ষার্থী প্রথম দশে রয়েছেন। যার মধ্যে ছাত্র রয়েছেন ৩৫ জন, ছাত্রী ২৩ জন।
৫৮ জনের মধ্যে হুগলি থেকে ১৩ জন, বাঁকুড়া থেকে ৯ জন, দক্ষিণ ৭ জন, কলকাতা থেকে ৫ জন, পূর্ব বর্ধমান এবং পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ৪ জন, কোচবিহার এবং মালদহ থেকে ৩ জন রয়েছেন। পাশের হারে এগিয়ে ছেলেরা।
এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে ১,৮৭,৯২৪ জন সংখ্যালঘু পরীক্ষার্থী ছিলেন। পাশের হার ৮৬.৯০।
এ বার পরীক্ষায় পাশ করেছেন ৬,৭৯,৭৮৪ পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৭,৬৪,৪৪৮। অর্থাৎ পাশের হার ৯০ শতাংশ। পাশের হারে এগিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর। কলকাতা পাঁচ নম্বরে।
সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানালেন কোনও ধরনের প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। ৪১ জন পরীক্ষার্থী মোবাইল নিয়ে ঢুকেছিলেন। তাঁদের মোবাইল এবং অ্যাডমিট বাতিল হয়েছে। এ বার মার্কশিটে কিউআর কোড থাকছে বলেও জানালেন তিনি।
মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৭,৬৪,৪৪৮ জন। ৬০টি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে ১৫টি ভাষার পরীক্ষা।
এ বছর সব নম্বর অনলাইনে নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।
বুধবার মার্কশিট এবং শংসাপত্র হাতে পাবেন না পরীক্ষার্থীরা। সংসদের ৫৫টি বিতরণ কেন্দ্রে আগামী ১০ মে সকাল ১০টা থেকে মার্কশিট এবং শংসাপত্র স্কুলগুলির হাতে তুলে দেওয়া হবে। ওই দিন স্কুলগুলি পরীক্ষার্থীদের সেই মার্কশিট এবং শংসাপত্র বিতরণ করবে। মার্কশিটে নম্বরের পাশাপাশি পার্সেন্টাইলও থাকবে।
চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় উচ্চ মাধ্যমিক। শেষ হয়েছিল ২৯ ফেব্রুয়ারি। এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিকে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭,৯০,০০০। মোট পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল ২,৩৪১টি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy