মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীনই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হল। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষা চলাকালীন মেডিক্যাল আর্জেন্সি ব্যতীত অন্য কোনও কারণ দেখিয়ে ছুটি নেওয়া যাবে না। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি, এই নিয়ম শিক্ষাকর্মীদের জন্যও প্রযোজ্য। তবে, যথাযথ কারণ জানিয়ে আবেদন জমা দিলে তা শিক্ষা সংসদ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
এ ছাড়াও সরকারি বা সরকার অধীনস্থ দফতরে কর্মরত মা-বাবা উভয়ই যদি একসঙ্গে ছুটি নিতে চান, সে ক্ষেত্রে যে কোনও এক জনের ছুটি মঞ্জুর করা হবে। তবে, তাঁদের শিক্ষা সংসদের স্থানীয় দফতরে যথাযথ ভাবে আবেদন জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন:
এই নির্দেশিকায় ক্ষুব্ধ শিক্ষামহলের একাংশ। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডলের কথায়, পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের ছুটি নেওয়া নিয়ে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা সরকারের তৈরি করা নিয়মকে মান্যতা দিচ্ছে না। তিনি আরও দাবি করেন, শিক্ষা সংসদের ছুটি অনুমোদন করার কোনও এক্তিয়ারই নেই। তা হলে সেই আবেদন শিক্ষা সংসদের আঞ্চলিক দফতরে পাঠাতে হবে কেন?
এই প্রসঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, পরীক্ষার সময়ে যে কোনও কারণবশত শিক্ষক-শিক্ষিকা কিংবা শিক্ষাকর্মীরা একসঙ্গে লম্বা ছুটি নিয়ে নেন। এতে পরীক্ষার কাজে লোকবল কমে যায়। এই প্রবণতা কমাতেই চলতি বছর থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা অস্ত্রোপচার সংক্রান্ত সমস্যা ছাড়া অন্য কোনও কারণ দেখিয়ে পরীক্ষার সময়ে ছুটি নেওয়া যাবে না।