নিজস্ব চিত্র।
নির্ধারিত সময়ের আগেই আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশিত হল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের টেস্ট পেপার। তবে প্রকাশ হলেও টেস্ট পেপার হাতে পাবে না পড়ুয়ারা। বিতরণের কাজ শুরু হবে ১৬ ডিসেম্বর। আর এখানেই প্রশ্ন শিক্ষক মহলের একাংশের, দেরি করে পৌঁছনোর ফলে লক্ষ লক্ষ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর কাছে সরকারি টেস্ট পেপারের গুরুত্ব থাকে না।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক আধিকারিক জানান, “আমরা সব সময় চেষ্টা করি ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে দ্রুত টেস্ট পেপার বিনামূল্যে তুলে দেওয়ার। এ বছর সেই কাজ আমরা অনেকটাই দ্রুত করতে পেরেছি। এবং ১৬ তারিখ থেকে পড়ুয়াদের কাছে এই টেস্ট পেপার পৌঁছে যাবে। চলতি মাসের মধ্যেই সমস্ত পড়ুয়া টেস্ট পেপার পেয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।”
মাধ্যমিকের টেস্ট শেষ হয়েছে নভেম্বর মাসে। আগামী বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। স্কুলের শিক্ষকদের অভিযোগ, প্রতি বছর পর্ষদের টেস্ট পেপার প্রকাশ হতে মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রায় কাছে চলে আসে। ফলে টেস্ট পেপার দেখে অনুশীলন করার সময় পায় না পরীক্ষার্থীরা।
দ্রুত টেস্ট পেপার প্রকাশ করার জন্য ইতিমধ্যে পর্ষদের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন বহু শিক্ষকই।
শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “দ্রুত টেস্ট পেপার প্রকাশের দাবি জানিয়ে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে আমরা অনেক দিন আগে আবেদন জানিয়েছিলাম। প্রতি বছর দেরিতে প্রকাশিত হওয়ায় তা ছাত্রদের কাজে তেমন লাগত না। এ বছর ১৬ ডিসেম্বর টেস্ট পেপার প্রকাশিত হবে বলে জানা গেল। শুধু প্রকাশ নয়, অতি দ্রুত যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এই টেস্ট পেপার পৌঁছে দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থাও করতে হবে।”
উল্লেখ্য, গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল। পর্ষদ অনুষ্ঠানিক ভাবে টেস্ট পেপার প্রকাশ করে ১৯ ডিসেম্বর। আর স্কুলে বিলি হয়ে ছাত্রদের হাতে পৌঁছতে জানুয়ারির ১০ তারিখ অতিক্রম করে যায়। বেশ কিছু স্কুল জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে গিয়ে টেস্ট পেপার পড়ুয়াদের হাতে দেয়।
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার বলেন, “এ বার গত বছরের থেকে আগে প্রকাশিত হল পর্ষদের টেস্ট পেপার। পরীক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছতে যথারীতি দেরি হয়ে যাবে। এত অর্থ ব্যয়ে সরকারি টেস্ট পেপার ছাপানো হলেও সেই বেসরকারি সংস্থার টেস্ট পেপার কিনতে বাধ্য হবে পরীক্ষার্থীরা অনুশীলনের জন্য।”
শিক্ষক মহলের একাংশের বক্তব্য, পর্ষদের তরফে ১০ লক্ষের উপর টেস্ট পেপার তৈরি করতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। তাই সময় মতো টেস্ট পেপার প্রকাশ করে এই অপচয় বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি। বিনামূল্যে টেস্ট পেপার প্রাপ্তি গরিব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে একান্ত প্রয়োজন। কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যাণ্ট হেডমাস্টার্স অ্যাণ্ড অ্যাসিস্ট্যাণ্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, “টেস্ট পেপার প্রকাশিত হলেই হবে না, ছাত্রছাত্রীরা কত তাড়াতাড়ি হাতে পাচ্ছে, সেটাই বিবেচ্য। প্রকাশে দেরি হলে তা পড়ুয়াদের কোনও কাজে আসে না।”
ইতিমধ্যে এবিটিএ-র টেস্ট পেপার প্রকাশিত হয়েছে ৩ ডিসেম্বর। তিন লক্ষ ২০ হাজার টেস্ট পেপার বেরিয়েছে বলে জানান নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। পর্ষদের ব্যাখ্যা, "আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশিত হলে আরও এক বার খুঁটিয়ে দেখে বাঁধাইয়ের জন্য যাবে। সেই সময়টুকুই যা লাগবে আমাদের। ছাপানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy