ইউজিসি। সংগৃহীত ছবি।
দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় পাঠ্যবই অনুবাদের নির্দেশিকা জারি করল ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন)। জাতীয় এবং আঞ্চলিক স্তরে অনুবাদিত পাঠ্যবইয়ের গুণমান যাতে নষ্ট না হয়, সে দিকেও বিশেষ নজর দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে এই নির্দেশিকায়। সম্প্রতি ইউজিসি-র ওয়েবসাইটে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, পাঠ্যবইয়ের অনুবাদের সময় মূল বিষয়বস্তুর অর্থ যাতে পাল্টে না যায়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। লম্বা বা একাধিক খণ্ডবাক্যের ব্যবহারও যতদূর সম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই)-র তৈরি করা ‘অনুবাদিনি’-র সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। এটি লেখা অনুবাদের একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) টুল। এটি যে কোনও লেখা অনুবাদ, সম্পাদনা-সহ বিভিন্ন কাজ সহজেই করে দিতে পারে।
কমিশন ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল টার্মিনোলজি (সিএসটিটি) বিভিন্ন বিষয়ের পাঠ্যবই অনুবাদের জন্য শব্দকোষ বা অভিধানও তৈরি করেছে। এর সাহায্যে বিভিন্ন বিষয় অনুবাদের সময় প্রতিশব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাহায্য নিতে পারবেন অনুবাদকরা। এমনকি যোগ করতে পারবেন নতুন শব্দও। অনুবাদকরা সাহায্য নিতে পারবেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের সাহিত্য/ ভাষা বিভাগের থেকেও।
কমিশনের সুপারিশ, বিভিন্ন বিষয়ের নানা জটিল টেকনিক্যাল শব্দের অনুবাদের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ভাষার প্রতিশব্দের পাশাপাশি রাখতে হবে ইংরেজি শব্দগুলিকেও। আঞ্চলিক ভাষায় যদি একান্তই কোনও প্রতিশব্দ পাওয়া না যায়, সে ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে শব্দের প্রতিলিপি বা ট্রান্সলিটারেশন। বিভিন্ন বিষয়ের ক্ষেত্রে যে শব্দগুলি বহুল প্রচলিত, সেগুলিই অনুবাদিত পাঠ্যবইয়ে ব্যবহার করা উচিত বলে ইউজিসি-র মত। অযথা প্রতিটি শব্দ আক্ষরিক অনুবাদ না করে, মূল ধারণা স্পষ্ট ভাবে অন্য ভাষায় বোঝানোর উপরেই জোর দিতে হবে।
তবে সমস্ত বিষয়ের পাঠ্যবইয়ের ক্ষেত্রেই ফর্মুলা, সমীকরণ, প্রতীক চিহ্নের কোনও অনুবাদ করা যাবে না বলেই জানানো হয়েছে ইউজিসি-র নির্দেশিকায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy