গত বছর জুলাই মাসেই দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় পাঠ্যবই অনুবাদের নির্দেশিকা জারি করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এ বার সেই সূত্র ধরেই আঞ্চলিক ভাষায় পাঠ্যবই অনুবাদের জন্য লেখক, সমালোচক এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির শিক্ষকদের তরফ থেকে আবেদন চাওয়া হচ্ছে। সেই মর্মে সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে ইউজিসির তরফে।
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য কলা, বিজ্ঞান, বাণিজ্য এবং সমাজবিজ্ঞানের স্নাতকস্তরের পাঠ্যবইগুলি মোট ১২টি আঞ্চলিক ভাষায় অনুবাদ করা হবে। এই ভাষাগুলির মধ্যে রয়েছে বাংলা, অসমিয়া, গুজরাতি, হিন্দি, কন্নড়, মালায়লম, মরাঠি, ওড়িয়া, পঞ্জাবি, তামিল, তেলুগু এবং উর্দু। সংশ্লিষ্ট ভাষাগুলিতেই পাঠ্যবই অনুবাদের জন্য লেখক, সমালোচক এবং শিক্ষকদের খোঁজ করছে ইউজিসি। এর জন্য বিভিন্ন রাজ্যে বেশ কিছু নোডাল বিশ্ববিদ্যালয় চিহ্নিত করা হচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিই নিজেদের মধ্যে সমন্বয়সাধন করে আঞ্চলিক ভাষায় পাঠ্যবই লেখার জন্য পারদর্শী লেখকদের নিয়ে একটি টিম গঠন করবে।
আরও পড়ুন:
-
শিবপুরের আইআইইএসটিতে গবেষক নিয়োগ, কোন বিভাগের কোন প্রকল্পে কাজের সুযোগ?
-
কেন্দ্রীয় সংস্থা ব্রডকাস্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্টসে চাকরির সুযোগ, নিয়োগ কোন পদে?
-
কল্যাণীর এনআইবিএমজিতে ক্যানসার সংক্রান্ত গবেষণা প্রকল্পে কাজের সুযোগ, শূন্যপদ ক’টি?
-
কেন্দ্রীয় সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েলে ৪৭৩টি শূন্যপদে কর্মখালি, পোস্টিং কলকাতা-সহ অন্যত্র
জাতীয় শিক্ষানীতির মূল উদ্দেশ্যের বাস্তবায়ন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে আঞ্চলিক ভাষায় পাঠরত পড়ুয়াদের শিক্ষাগ্রহণে সুবিধার জন্যই ইউজিসি-র এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে।
আগ্রহীদের বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া গুগল ফর্মের লিঙ্কে ক্লিক করে এর জন্য আবেদন জানাতে হবে। আগামী ৩০ জানুয়ারি আবেদন জানানোর শেষ দিন। একই সঙ্গে কোন কোর্সের বই কোন ভাষায় তাঁরা অনুবাদ করতে চান, তা আবেদনপত্রে জানাতে হবে। অনূদিত বইয়ের কী নাম হবে, তা-ও তাঁরা আবেদনপত্রে উল্লেখ করতে পারেন। তবে তা বাধ্যতামূলক নয় বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।