সংগৃহীত চিত্র।
চার্চ অফ নর্থ ইন্ডিয়ার অধীনস্থ স্কুলগুলি এ বার ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ ভাবে সতর্ক। করা হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুদের উপর কোনও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ যাতে না আসে, তার উপরে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের গতিবিধি ও আচরণ নিয়ে জারি হয়েছে নির্দেশিকাও।
চার্চ অফ নর্থ ইন্ডিয়ার অধীনে এই মুহূর্তে কলকাতায় স্কুল রয়েছে ১৫টির মতো। যার মধ্যে বেশির ভাগ স্কুলই কো-এডুকেশন। সেখানে ছাত্রীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য ইতিমধ্যেই সমস্ত স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে 'সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট অ্যাট ওয়ার্কপ্লেস' এবং নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনাসভা।
শিশু অধিকার ও শিশু সুরক্ষা নিয়ে সাত দফা নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে শিক্ষকদের জন্য। তাতে প্রথমেই জোর দেওয়া হয়েছে শিক্ষাদানের উপর। পাশাপাশি, পড়ুয়াদের সুরক্ষার দায়িত্বও শিক্ষকদের গুরুত্ব সহকারে পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে কোনও ধরনের শারীরিক, মানসিক বা মৌখিক হেনস্থা থেকে তাদের রক্ষা করা শিক্ষকদের প্রধান দায়িত্ব। বলা হয়েছে, ছাত্র-ছাত্রী সকলকে এমন ভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে তারা সমাজের সব ক্ষেত্রে লড়াই করতে পারে। পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে, সুরক্ষার ফাঁক বা তার জেরে হওয়া সমস্যা দ্রুত চিহ্নিত করে প্রতিকার বা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক বা দায়িত্বে থাকা আধিকারিককে।
সম্প্রতি স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলেও এই সংক্রান্ত একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। আরজি কর কাণ্ডের পর ছাত্রী-নিরাপত্তা নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন স্কুলের শিক্ষকদের একাংশ ও অভিভাবকরা। মিশনারি স্কুলগুলিতে যাতে এই ধরনের অভিযোগ না আসে, তাই আগে থেকেই সতর্ক হচ্ছেন তাঁরা।
এ বছর থেকেই প্রাথমিক ও একাদশ শ্রেণিতে কো-এডুকেশন চালু হয়েছে স্কটিশ চার্চ স্কুলে। স্কুলের অধ্যক্ষ বিভাস সান্যাল বলেন, “স্কুলগুলিতে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে শিক্ষকদের নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়েও কর্মশালার আয়োজন করা হবে দ্রুত। শিক্ষা ও ছাত্র-শিক্ষকের বোঝাপড়ার মধ্যে দিয়ে সমাজকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে হবে।”
চলতি মাস থেকে শুরু হচ্ছে সিমেস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা ব্যবস্থা। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেই বাইরে থেকে মনোবিদ এনে বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করবে স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল। মূল উদ্দেশ্য, ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সুন্দর পরিবেশের মধ্যে তাদের শিক্ষাদান। এ বার থেকে প্রতি বছর বিশপের অধীনস্থ স্কুলগুলিতে বছরে দুই থেকে তিনটি করে এই ধরনের কর্মশালা বা সেমিনার করা হবে। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ বলে চার্চের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy