বইমেলার আগে শহরে শারদ বই পার্বণের সূচনা হল আজ শুক্রবার থেকে। বইমেলায় বই পিছু ১০% ছাড় দেওয়া হয়। এখানে বই প্রতি ছাড় দেওয়া হবে ২০ থেকে ৮০ শতাংশ।
পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড এবং রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এই বইমেলা চলবে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বইমেলার সূচনাতে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়।
পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে বলেন, “এই বইমেলার মূল আকর্ষণ হচ্ছে ১০ শতাংশের উপর কমিশন, যাতে সকল স্তরের বইপ্রেমীরা বই কিনতে পারেন। বর্তমান অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে একমাত্র বই পারে মানুষকে সঠিক পথ দেখাতে ও সুশিক্ষা দান করতে। আমরা আশা করছি এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় বিক্রি অনেক বেশি হবে।”
আরও পড়ুন:
সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মনের অস্থিরতা দূর করতে বইয়ের কোনও বিকল্প নেই। পাশাপাশি, সৃজনশীলতার বিকাশের জন্য বই পড়ার অভ্যাস প্রত্যেক বাঙালির থাকা প্রয়োজন।”
রবীন্দ্র সদন, নন্দন এবং বাংলা অ্যাকাডেমি চত্বরে শারদ উৎসবের আগে এই বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে যা চলবে সাত দিন ধরে। সাধারণ মানুষের জন্য খোলা থাকবে দুপুর ২টো থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। ৭০টি বই প্রকাশনা সংস্থার ৬২টি স্টল থাকবে এই বইমেলায়।
আরও পড়ুন:
এই বইমেলার মূল আকর্ষণ হল এখানে যেমন ত্রিপুরার প্রকাশক আছেন, তেমন বাংলাদেশের প্রচুর বই এই স্টলে পাওয়া যাবে। ইংরেজি ভাষার সাহিত্যিকদের বইও পাওয়া যাবে। বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আনুষ্ঠানিক কোনও সূচনা না হলেও শিক্ষামন্ত্রী তথা নাট্যকার ব্রাত্য বসু উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “বই নিঃসঙ্গতা দূর করতে সাহায্য করে। এমন অস্থির সময়ে তাই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ বই কিনতে ছুটে এসেছেন। আমি চাই মুঠো ফোন থেকে বইয়ের প্রতি মানুষের আকর্ষণ আরও বৃদ্ধি পাক। আমি নিজেও বই ভালবাসি এবং বই পড়ি।”
১৯৯৬ সালে ২৩ এপ্রিল বই দিবস উপলক্ষে এই বই উৎসব শুরু হয়েছিল। ২০১২ সাল থেকে এই বইমেলার সময় পরিবর্তন হয়। ঠিক পুজোর আগে আয়োজিত হয় এবং তখন থেকেই এর নামকরণ করা হয় শারদ বই পার্বণ।