সংগৃহীত চিত্র।
নতুন করে গঠিত হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাডহক কমিটি। সেখানে হাইস্কুল-সহ বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের শিক্ষক ও অধ্যাপকরা স্থান পেলেও নেই প্রাথমিক স্তরের কোনও শিক্ষক। প্রাথমিকের সমস্যা মেটাতে প্রাথমিক শিক্ষকদের কমিটিতে রাখা প্রয়োজন, দাবি তুলেছে শিক্ষক মহলের এক অংশ।
নারায়ণ দাস বাঙুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়মে পরিবর্তন আনা উচিত। শুধু প্রাথমিকে নয়, সমস্ত ক্ষেত্রেই এই পরিবর্তন দরকার। কলেজের অধ্যাপকরা প্রাথমিক স্তরে পড়ুয়াদের পড়ান না। তাই তাদের সমস্যা তাঁরা কী করে বুঝবেন? সরকারেরও এটা বিবেচনা করা উচিত।”
নতুন যে কমিটি গড়া হয়েছে, তাতে রাজ্যের জয়েন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ১২ জন নতুন সদস্য স্থান পেয়েছেন। তবে এই কমিটির সভাপতি পদে রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “এই কমিটিতে হাইস্কুলের টিচাররা আছেন। কিন্তু এক জনও প্রাথমিক শিক্ষক নেই। তার মানে সরকার নিজেই প্রমাণ করে দিচ্ছে, যে প্রাথমিক শিক্ষকরা আছেন, তাঁরা কেউ যোগ্য নন।”
কমিটিতে সোনালীদেবী ছাড়াও ১২ জনের মধ্যে রয়েছেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিবাজীপ্রতিম বসু, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনোজিৎ মণ্ডল, ইনস্টিটিউট অফ ল্যাঙ্গুয়েজ স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ-এর অধিকর্তা স্বাতী গুহ, গৌড়বঙ্গের সৌগত পাল, পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৌরিন ব্যানার্জি, সরোজিনী নাইডু কলেজের অধ্যক্ষ স্বাগতা দাস মোহান্ত, কুলটি জুনিয়র হাই স্কুলের বিজন সরকার এবং নৈহাটি নরেন্দ্র বিদ্যার নিকেতনের প্রধান শিক্ষক শান্তনু কুণ্ডু। আগামী এক বছর এই অ্যাডহক কমিটির সদস্য হিসাবে সাম্মানিক পদে থাকবেন এঁরা।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এক আধিকারিক জানান, এই কমিটি গঠন পর্ষদ করে না। সরকারের তরফ থেকেই করে পাঠানো হয়। তবে কমিটিতে কারা থাকবেন, তা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও আইন নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy