প্রতীকী চিত্র।
প্রায় ৪০ ডিগ্রির পারদ ছুঁতে চলেছে থার্মোমিটার। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চলতি সপ্তাহে তাপপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুলপড়ুয়াদের রেহাই দেওয়ার দাবিতে সরব শিক্ষক সংগঠনগুলি। এ প্রসঙ্গে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল জানিয়েছেন, ২২ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়ে ইতিমধ্যেই শিক্ষামন্ত্রীকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
অবশ্য টানা ছুটি থাকলেও যে বিশেষ সমাধান হবে, এমনটা মানতে নারাজ যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধানশিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “যত দিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, তত দিন স্কুল বন্ধ রাখা যেতে পারে। বরং পুজোর ছুটি কমিয়ে এই সময়ে ছুটির পরিমাণ বৃদ্ধি করলে পড়ুয়ারা অনেক বেশি উপকৃত হবে।”
অন্য দিকে, শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের তরফে অবশ্য স্কুল বন্ধ না রেখে অন্য সময়ে পঠনপাঠন চালু করার দাবি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, “দাবদাহ থেকে পড়ুয়াদের সুরক্ষিত রাখতে শিক্ষা দফতরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি পেশ করা হোক। সেই বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিটি জেলার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সকালে পঠনপাঠনের ব্যবস্থা চালু করা হলে সমস্যার সুরাহা হওয়া সম্ভব।”
এই প্রসঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে স্কুলগুলিতে ক্লাস করতে সমস্যা হতেই পারে। সে ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গ্রহণ করা হবে। তবে, সিমেস্টার পদ্ধতিতে পঠনপাঠনের জন্য যে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তার জন্য অনলাইনে ক্লাস করানো যাবে কি না, তা বিবেচনা করে দেখা হবে। কারণ, উচ্চ মাধ্যমিকের পড়ুয়াদের জন্য অনলাইনে ক্লাস করার যাবতীয় ব্যবস্থা সরকারের তরফে আগেই করা হয়েছে।”
শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, স্কুল জেলা আধিকারিকদের রিপোর্টের ভিত্তিতে ছুটি বৃদ্ধি করা হবে কি না, সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই পড়ুয়া এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মীদের তীব্র দাবদাহের মধ্যে সুস্থ রাখতে স্কুলগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল, ওআরএস-এর ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যাতে মিড ডে মিলে হালকা খাবার পরিবেশন করা হয়, সেই দিকেও নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে,আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের কারণে তাপপ্রবাহের জন্য স্কুলগুলিকে অতিরিক্ত ছুটি দেওয়া হবে কি না, তা শিক্ষা দফতর বিবেচনা করে দেখবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy