২৫ ঘণ্টা পর ছাড়া পেলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) সচিব অমলেশ রাউত। তাঁর সঙ্গে আরও ১১জনও ছাড়া পেয়েছেন। তবে এখনও আটক রয়েছেন ১৫ জন কর্মী।
এসএসসির চেয়ারম্যানকে দেখা করতেই হবে— সোমবার রাতে সল্টলেকের আচার্য সদনে চাকরিহারাদের অবস্থান থেকে এমনই দাবি ওঠে। তাঁদের বিক্ষোভের কারণে ওই ভবনের মধ্যেই আটকে ছিলেন সচিব-সহ বেশ কয়েক জন আধিকারিক। তবে, মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা সচিবের। তাই তাঁকে ছাড়া হয়েছে। পাশাপাশি এক জন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে এবং আরও ১০ জন মহিলা আধিকারিককেও ছাড়া হয়েছে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের সচিব অমলেশ রাউত বলেন, ‘‘গতকাল দুপুর থেকে আমাদের দফতরে বন্দি করে রেখে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। প্রথমে জল এবং খাবার পৌঁছোতে না দিলেও, রাত সাড়ে ১২টার পর খাবার আসে। আদালতে মামলা থাকার জন্য আমাকে ছাড়লেও বাকি কর্মীরা এখনও আটক রয়েছেন ।’’ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেল ৪টের সময় স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করবেন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকেরা। আন্দোলনকারী রীতেশ ঘোষ বলেন, ‘‘এসএসসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে পুলিশ- প্রশাসনের মাধ্যমে আমার কথা হয়েছে। বিকেল ৪টের সময় আমাদের ১০ জন প্রতিনিধির সঙ্গে উনি বৈঠক করবেন। তবে এখনও কোথায় বৈঠক হবে তা জানাননি। দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’’
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, ওএমআরে গলদ থাকায় ‘যোগ্য’দের তালিকা থেকে আগেই বাদ গিয়েছে তাঁদের নাম। গত বৃহস্পতিবার থেকে তালিকায় নাম না-থাকা শিক্ষকেরা দফায় দফায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, যেখানে আদালতে ওএমআরে কারচুপির বিষয়টি এখনও প্রমাণিত হয়নি, সেখানে এসএসসি কী করে তাঁদের ‘অযোগ্য’ বলে দাগিয়ে দিয়ে বেতন বন্ধ করে দিতে পারে? সোমবার ওই ‘অযোগ্য’দের আন্দোলন নতুন মাত্রা নেয়। দুপুরে হাজরা মোড়ে জড়ো হয়েছিলেন তাঁরা। তার পর রাতে আবার আচার্য সদনের সামনে অবস্থানে বসেন। তখনই খবর আসে, তাঁরা আটকে রেখেছেন এসএসসি-র আধিকারিকদের।
তবে কে ‘যোগ্য’, কে ‘অযোগ্য’, তা এখনও এত স্পষ্ট নয়। রাজ্যের তরফে আগেই ‘অযোগ্য হিসাবে চিহ্নিত’ বা ‘দাগি’ নন, এমন ১৭ হাজার ২০৬ জন শিক্ষকের নামের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল। সেই তালিকা সুপ্রিম কোর্টেও জমা দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। গত বুধবার সেখান থেকে বাদ যায় আরও ১৮০৩ জনের নাম।