সাফল্যের আনন্দ ভাগ করে নেওয়া। নিজস্ব চিত্র।
বুধবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সাংবাদিক বৈঠকে চতুর্থ স্থানাধিকারিদের নাম যখন ঘোষণা হচ্ছিল, সেই তালিকায় কলা বিভাগের ছাত্রী প্রেরণা পাল নিজের নাম শুনবেন, এটা আশা করেননি। এর পর পেরিয়ে গিয়েছে কয়েক ঘণ্টা। তাঁর মতে, পরিবার, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, গৃহশিক্ষক-সহ বহু প্রিয়জনের পরিশ্রমের অবদান এই ফল। কার্যত মিশ্র অনুভূতির আবেগে ভাসছেন প্রেরণা।
এই বছরের উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা ইছাপুর হাই স্কুলের ছাত্রী প্রেরণা পাল ৪৯৩ (৯৮.৬ শতাংশ) নম্বর পেয়ে চতুর্থ স্থানে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। বাবা অশোক পাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক হওয়ায় পড়াশোনার ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন তিনি। কলা বিভাগের বিষয় নিয়ে পড়তে চাওয়া এবং নতুন ভাবে সমস্তটা শিখে নেওয়ার বিষয়ে পরিবারের সমর্থন বাড়তি উৎসাহ যুগিয়েছে, জানিয়েছেন প্রেরণা।
টেস্ট পরীক্ষার পর থেকে বাঁধাধরা ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা পাঠ্যবই পড়ার পাশাপাশি সিনেমা দেখা, বই পড়ার অভ্যাস রয়েছে প্রেরণার। আপাতত, স্নাতক স্তরে ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনার কথাই ভেবে রেখেছেন তিনি। তবে এই প্রসঙ্গে তাঁর মত, বিশিষ্ট সাহিত্যিক অস্কার ওয়াইল্ডের কথা অনুযায়ী, নিজেকে বিশেষ্য হিসাবে ভাবা যাবে না এখনই। ভবিষ্যতে শিক্ষকতা করার ইচ্ছে আছে কি না, জানতে চাওয়ায় প্রেরণার উত্তর, আগে মানুষ হয়ে ওঠা প্রয়োজন, তার পর মানুষ গড়ার কারিগর হওয়ার কথা ভাববেন।
প্রেরণার মা মিলি মণ্ডল পাল পেশায় শিক্ষিকা। তিনি গোবরডাঙা গর্ভনমেন্ট কলোনি নেতাজি বিদ্যাপীঠের শিক্ষিকা। তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষকতার থেকেও বেশি লেখালেখি নিয়ে আগ্রহ রয়েছে প্রেরণার। ভবিষ্যতে কন্টেন্ট রাইটার হওয়ার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছেন প্রেরণা। তাই পড়াশোনার জন্য কখনও তাঁকে আলাদা করে জোর করেননি প্রেরণার বাবা এবং মা। মেধাতালিকায় নাম রয়েছে, এইটুকু সংবাদেই প্রেরণার পরিবার কার্যত আপ্লুত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy