প্রতীকী চিত্র।
চলতি বছরে মেডিক্যালের স্নাতকোত্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট পিজি (ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন)-র সম্ভাব্য সময়-সহ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন বা এনএমসির তরফে প্রকাশ করা হয়েছে দেশের স্নাতকোত্তর মেডিক্যাল শিক্ষা সংক্রান্ত নানা নিয়মবিধিও।
শনিবার সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের নিট পিজি পরীক্ষা হতে পারে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেই। এর পর স্নাতকোত্তরে ভর্তির কাউন্সেলিং শুরু হবে অগস্টের প্রথম সপ্তাহে। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, নিট পিজি-র পরিবর্তে এ বছর ন্যাশনাল এগজ়িট টেস্ট (নেক্সট)-এর আয়োজন করা হবে না।
অন্য দিকে, জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি) তাঁদের সদ্য প্রকাশিত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন রেগুলেশনস, ২০২৩-এ জানিয়েছে, এ বার থেকে স্নাতকোত্তরে ভর্তির কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে অনলাইনে। অনলাইনে রাজ্য বা কেন্দ্রীয় কাউন্সেলিং কর্তৃপক্ষ দ্বারা সমস্ত রাউন্ডের আয়োজন করা হবে। প্রতিটি কলেজকে সমস্ত কোর্সের জন্য প্রয়োজনীয় ফি-র পরিমাণ আগে থেকে ওয়েবসাইটে জানাতে হবে। কলেজগুলি নিজে থেকে পড়ুয়াদের কোর্সগুলিতে ভর্তি নিতে পারবে না।
এনএমসি কর্তৃক প্রকাশিত বিধিতে জানানো হয়েছে, দেশের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে নানাবিধ প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে এবং একটি কেন্দ্রীভূত কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়া হবে। কলেজগুলিকে ভর্তির জন্য আসনসংখ্যা প্রকাশের সময়েই কোর্স ফি-র পরিমাণ জানাতে হবে, না হলে ওই আসনগুলিকে পড়ুয়াদের ভর্তির জন্য গণ্য করা হবে না।
নয়া বিধিতে মেডিক্যালের পরীক্ষা ব্যবস্থাতেও কিছু পরিবর্তন আনা হবে বলে জানানো হয়েছে। এনএমসি-র পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন বোর্ডের সভাপতি চিকিৎসক বিজয় ওঝা জানিয়েছেন, পরীক্ষায় গঠনমূলক মূল্যায়ন এবং মাল্টিপল চয়েস প্রশ্নের উপর জোর দেওয়া হবে। পরীক্ষায় বস্তুমুখীনতা এনে যাতে আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের মেডিক্যাল শিক্ষাকে উন্নীত করা যায়, সেই জন্যেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন তিনি।
একই সঙ্গে মেডিক্যালের ‘ডিস্ট্রিক্ট রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম’-এও কিছু পরিবর্তন আনা হবে বলে নয়া বিধিতে জানানো হয়েছে। ওঝা জানিয়েছেন, ‘ডিস্ট্রিক্ট রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম’-এ এখন থেকে জেলার যে কোনও সরকারি বা সরকারি অর্থপুষ্ট এবং ৫০টি শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আগে কেবল মাত্র ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালকেই জেলা হাসপাতাল বলে স্বীকৃতি দেওয়া হত। দেশের স্নাতকোত্তর মেডিক্যাল পড়ুয়াদের জেলার হাসপাতালে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৃণমূল স্তরে স্বাস্থ্যকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করে তোলাই এই প্রকল্পের লক্ষ্য।
এ ছাড়াও নয়া বিধি অনুযায়ী, দেশের যে কলেজগুলিকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন কোর্স চালুর অনুমোদন দেওয়া হবে, সেই কলেজগুলি থেকে উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের ডিগ্রিও স্বীকৃত বলে ধরা হবে। এর ফলে পড়ুয়াদেরকে আর তাঁদের ডিগ্রি আলাদা ভাবে নথিভুক্ত করার প্রয়োজন পড়বে না। এ ছাড়া স্নাতক স্তরে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে তৃতীয় বছর থেকেই পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স পড়ানো যাবে। পাশাপাশি সমস্ত পড়ুয়াকেই রিসার্চ মেথডোলজি, এথিক্স এবং কার্ডিয়াক লাইফ সাপোর্ট স্কিল সম্পর্কিত পাঠক্রম পড়তে হবে। এ ছাড়া, দেশের সরকারি এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন নন-টিচিং হাসপাতালও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স চালু করতে পারবে। এর জন্য শুধু এনএমসি নির্ধারিত পরিকাঠামো, প্রয়োজনীয় নথিপত্র থাকতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy