জয়েন্ট পরীক্ষার জরুরি টিপস দিলেন অভিজ্ঞ অধ্যাপক। প্রতীকী ছবি।
চলতি মাসের শেষ দিনে পরীক্ষা। হাতে রয়েছে আর কয়েকটা দিন। তার পরই নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা জয়েন্ট এন্ট্রান্স। তীব্র এই গরমের মধ্যেই পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে তুঙ্গে। এই পরীক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল গণিত। আসন্ন পরীক্ষার জন্য তাই এই প্রতিবেদনে রইল একটি নামী কলেজের গণিত অধ্যাপকের শেষ মুহূর্তের কিছু জরুরি টিপস।
১। মাথায় রাখতে হবে, পরীক্ষার আগে বুক ধড়ফড় করা-টেনশন হওয়া এগুলো খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। তবে সেগুলি যেন শরীরের উপর তেমন প্রভাব না ফেলে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতগুলি মাসের প্রস্তুতি যেন জলে না যায়, তার জন্য মনের জোর বাড়ানো বিশেষ ভাবে প্রয়োজনীয়।
২। যে হেতু পরীক্ষার আর ১৫ দিনও বাকি নেই, এই মুহূর্তে নতুন কিছু পড়া একেবারেই ভুল পদক্ষেপ। বরং, এত দিন যা যা পড়া হয়েছে, সে বিষয়গুলির উপর জোর দিতে হবে। পড়া জিনিসগুলি প্রতিনিয়ত অনুশীলন করতে হবে। ঝালিয়ে নিতে হবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফর্মুলা।
৩। পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। পরীক্ষায় থাকবে মাল্টিপল চয়েস কোশ্চেনস বা এমসিকিউ।পরীক্ষায় উত্তর ভুল হলে থাকবে নেগেটিভ মার্কিং। কম সময়ের মধ্যে কে কত বেশি সংখ্যক সঠিক উত্তর দিতে পারে, সেটিই এই ক্ষেত্রে যাচাই করা হবে। তাই কোথাও আটকে গেলে সেটা নিয়ে পড়ে না থেকে সহজ প্রশ্নগুলির দ্রুত সমাধান করতে হবে। সব শেষে সময় বাঁচলে তখন আবার ফিরে গিয়ে যে প্রশ্নগুলির উত্তর দেওয়া আগে সম্ভব হয়নি, সেগুলি সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।
৪। পরীক্ষায় গড়পড়তা অঙ্কের বদলে কনসেপ্ট ওরিয়েন্টেড প্রশ্ন বেশি আসবে। তাই মাথা ঠান্ডা রেখে সমাধান করাই বাঞ্ছনীয়। বিভিন্ন বিকল্প দেখে ব্যাক ক্যালকুলেশন করে অঙ্ক মেলাতে গেলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কেন না প্রশ্নকর্তারা বিভ্রান্ত করার জন্যে সঠিক উত্তরের খুব কাছাকাছিই বিকল্প উত্তর রাখবেন। তাই সে ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না।
৫। পরীক্ষায় বিভিন্ন প্রশ্নের ‘ডিফিকাল্টি লেভেল’ থাকবে মিলিয়ে মিশিয়ে। এ রকম ভাবা যাবে না যে, প্রথমে সোজা প্রশ্ন থাকবে এবং প্রশ্নপত্রের শেষে থাকবে কঠিন প্রশ্ন। তাই প্রশ্নপত্র পেয়েই প্রথমে পুরো প্রশ্নপত্রে চোখ বুলিয়ে নিতে হবে।
৬। ইন্টিগ্রেশন ছাড়াও ত্রিকোনমিতির উপরে জোর দিতে হবে। যে হেতু সিংহভাগ অঙ্কই এই দুই জায়গা থেকে আসে আর ফর্মুলাও অনেক, লাগাতার প্র্যাকটিস করে সমাধানের দক্ষতা বাড়াতে হবে। তবে কোনও চ্যাপ্টারই বাদ দেওয়া যাবে না।
৭। মাথায় রাখতে হবে সময়ের কথা। ঘড়ি ধরে বাড়িতে মক টেস্টের অনুশীলন করলে পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীদের সুবিধা হবে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে উত্তর করা হয়ে গেলে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর ভাল ভাবে দেখে নিতে হবে। এর পিছনে সময় ধার্য করতে হবে ৫ মিনিট। এর পর বাকি সময়ের মধ্যে অন্য অঙ্কগুলি করে ফেলতে হবে। নেগেটিভ মার্কিংয়ের জন্য আন্দাজে উত্তর করা যাবে না।
সবশেষে বলা যেতে পারে, শুধুমাত্র প্রস্তুতিই নয়, প্রয়োজন একাগ্রতা আর লক্ষ্যভেদ করার দৃঢ় মানসিকতা। সারা বছর পাঠ্যবই পড়ে মক টেস্টের অনুশলীন করলেই রেজাল্ট ভাল করা সম্ভব। এই মুহূর্তে শুধু নিজেকে চাঙ্গা রেখে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে।
(পরামর্শ দিয়েছেন দ্য হেরিটেজ কলেজের গণিতের অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান অঞ্জন দেবনাথ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy