কাজের সূত্রে যশ খ্যাতি পেয়েছেন বিস্তর। কিন্তু শিকড়ের টানে ফিরে এসেছেন ছোটবেলার স্কুলে। স্কুলের জন্য তৈরি করে দিয়েছেন স্মার্ট ক্লাসরুম। নদিয়ার ‘কল্যাণী পান্নালাল ইনস্টিটিউশন’কে গুরুদক্ষিণা দিতে যথাক্রমে ৪৫ লক্ষ এবং ২১ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন সন্দীপ মুখোপাধ্যায় এবং উজ্জ্বল দাশগুপ্ত।

প্রাক্তনীরা ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানেও শামিল হন। নিজস্ব চিত্র।
২৪ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক ভাবে সন্দীপ মুখোপাধ্যায়ের বাবার স্মৃতিতে তৈরি স্মার্ট ক্লাসরুম উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রধানশিক্ষক-সহ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই বিষয়ে স্কুলের অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার সৌদীপ্ত দাস বলেন, প্রাক্তনীদের উদ্যোগ স্কুলের জন্য গর্বের বিষয়। এমন স্মার্ট ক্লাসরুম সরকারি স্কুল তো দূর, বেসরকারি স্কুলেও পাওয়া দুর্লভ। সবটাই প্রাক্তনীদের আর্থিক অনুদানেই সম্ভব হয়েছে। এতে ছাত্রছাত্রীরা যেমন উপকৃত হবে, তেমনই তারা বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট অনুপ্রেরণাও পাবে।
সন্দীপ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পড়ুয়ারা অনুদানের অভাবে ভাল পরিকাঠামোর সুযোগ সুবিধা পায় না। এতে তাদের পঠনপাঠনের উপর যথেষ্ট প্রভাব পড়ে। স্কুলের প্রাক্তনী হওয়ার দরুন এই সামান্য অনুদান বাচ্চাদের ভবিষ্যতের জন্যই খরচ করা হোক, এটাই কাম্য। তিনি আরও বলেন, “আমার জীবনের সাফল্যের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এই স্কুল এগিয়ে চলার সাহস এবং শক্তি যুগিয়েছে। সদ্যই পিতৃহারা হয়েছি, তাই স্কুলের জন্য যা করতে চাই, তাতে বাবার স্মৃতি জড়িয়ে থাকুক, এই টুকু আমার চাওয়া ছিল। স্কুল তাতে মান্যতা দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে যাতে আরও কিছু স্কুলের জন্য করতে পারি, সেটাই চেষ্টা থাকবে।”

উদ্বোধনের পরই স্মার্ট ক্লাসরুম চালু করা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।
এর আগে চলতি বছরের ১ মার্চ প্রাক্তনী উজ্জ্বল দাশগুপ্তের অনুদানে তৈরি স্মার্ট ক্লাসরুম উদ্বোধন করা হয়েছিল। সেই ক্লাসরুমেও উন্নতমানের ক্যামেরা, সাউন্ড সিস্টেম, স্মার্টটিভি-সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী পঠনপাঠনের জন্য দিয়েছিলেন তিনি।