নিয়ম শৃঙ্খলাভঙ্গের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তার সঙ্গে ফেস্ট চলাকালীন শালীনতার সীমা লঙ্ঘনের দাবিও উঠেছে একাধিক বার। সেই সমস্ত অভিযোগ, দাবি খতিয়ে দেখে এ বার ফেস্ট আয়োজনের জন্য বিশেষ নিয়মবিধি জারি করতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি, শালীনতা বজায় রাখতেও মানতে হবে কিছু নিয়ম।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে তরফে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেই বৈঠকের পরই জানানো হয়েছে, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা শেষ না পর্যন্ত ফেস্টের আয়োজন করা যাবে না। একই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে শব্দ বিধি।
একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, রাত ১০ টার পর আর কোনও অনুষ্ঠানই চলবে না। একই সঙ্গে কারা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন, কত জন রয়েছেন— সবটার জন্য ব্যবস্থা করতে হবে ক্রাউড ম্যানেজমেন্টের। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিষয়টি আলোচনা করেই সিদ্ধান্তের পথে এগিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। চূড়ান্ত বৈঠকের পর পড়ুয়াদের সমস্তটাই জানানো হবে।
২০২৪-এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেস্টকে ঘিরে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল যাদবপুর থানায়। তাতে বলা হয়েছিল, অতিরিক্ত শব্দের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কোয়ার্টারের বাসিন্দাদের অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। সম্প্রতি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেস্ট চলাকালীন বিশৃঙ্খলার কারণে এক সঙ্গীতশিল্পীকে মাঝপথেই বেরিয়ে যেতে হয়। এই ছবির পুনরাবৃত্তি রুখতেই এ বার ফেস্টে নিয়ম-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যাদবপুর তৎপর। দ্রুতই পড়ুয়াদের সামনে রাখা হবে এই প্রস্তাব। তবে, পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, এই ধরনের বিধি মানে তাঁদের স্বাধীন ভাবে অনুষ্ঠান আয়োজনে হস্তক্ষেপ করা। ভবিষ্যতে এই ধরনের নিয়মকে হাতিয়ার করে গোটা বিষয়টাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণে চলে যেতেই পারে, এমন সম্ভাবনাও দেখছেন তাঁরা।