প্রতীকী ছবি।
পারস্পরিক বদলির ক্ষেত্রে আবেদন নেওয়া শুরু হলেই এখনই হচ্ছে না বদলি। মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের পরেই আবেদনের ভিত্তিতে এই প্রক্রিয়া শুরু করবে সরকার। শিক্ষা দফতর সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে। এ ছাড়া, পারস্পরিক বদলির ক্ষেত্রে বছরে নির্দিষ্ট সময়ে দু’বার বদলি করা হবে– এমনই নীতি আনতে চলেছে শিক্ষা দফতর।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘পারস্পরিক বদলি নিয়ে আমাদের আলোচনা চলছে এই মুহূর্তে ঠিক কবে চালু হবে সেই দিনটা না বললেও দ্রুত চালু হবে এটা বলতে পারি।’’
উল্লেক প্রায় আড়াই বছর বন্ধ থাকার পরে চালু হয়েছে রাজ্য সরকারের উৎসশ্রী পোর্টাল। ইতিমধ্যে বেশ কিছু আবেদনও জমা পড়েছে। তবে, একাধিক শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীর অভিযোগ, তাঁরা আবেদন করতে গিয়ে নানা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। তার প্রধান কারণ, ন্যূনতম পাঁচ বছর স্কুল শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা না থাকলে পারস্পরিক আপস বদলির আবেদন করা যাবে না। যেমন কোনও শিক্ষকের যদি পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকে, তিনি নির্দিষ্ট কোনও স্কুলে বদলির আবেদন করতে চাইলেও সেই স্কুলে পাঁচ বছর অভিজ্ঞতার শিক্ষক না থাকলে পোর্টালে বদলির আবেদন গ্রাহ্য হচ্ছে না।
শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের অভিযোগ, ওই পোর্টালে বদলির আবেদন করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, যে স্কুলের জন্য আবেদন করা হচ্ছে, তার বাইরেও অনেক স্কুলের শূন্য পদের তথ্য চলে আসছে। তাই পারস্পরিক বদলির ক্ষেত্রে যাতে কোনও আইনি জটিলতায় না পড়তে হয়, সে বিষয় সতর্ক শিক্ষা দফতর।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে সারপ্লাস ট্রান্সফারে উদ্যোগী হয়েছিল সরকার। কিন্তু স্পষ্ট কোনও নীতি না থাকায় সেখানে ৬০০ জন শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীর বদলি হয়েছে দূরবর্তী এলাকায়। মহিলা-সহ এমন অনেক শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীই রয়েছেন, যাঁদের ৩০০ কিলোমিটার দূরে বদলি করা হয়েছে। এমনকি যাঁদের অবসরের মাত্র কয়েক বছর বাকি, তাঁদেরও বদলির আবেদন গ্রহণ হয়েছিল। এই বিষয়ে বিতর্কের মধ্যে পড়েছিল সরকার, যা শীর্ষ আদালত পর্যন্তও গড়ায়।
এ প্রসঙ্গে ব্রাত্য বলেন, ‘‘সারপ্লাস ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে আমরা একটা নীতি অবশ্যই আনবো এবং সেটা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই তা লাগু করা হবে।’’ আবার বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘যে সব স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমে গিয়েছে এবং অতিরিক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন, তাঁদেরকে বদলির ব্যাপারে একটা যুক্তিগ্রাহ্য নীতি নেওয়ার জন্য আমরা শিক্ষা দফতরের কাছে আবেদন করেছি। আশা করি শিক্ষা দফতর মানবিক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে সেই বদলি নীতি প্রয়োগ করবে, যাতে কেউ অসুবিধার মধ্যে না পড়ে যায় এবং কোনও অসন্তোষ না থাকে।’’
শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, আগের যে বদলি করা হয়েছিল, তা রিভিউ করবে দফতর। তবে সেখান থেকে পুনরায় বদলি এখনই করা হবে না। সারপ্লাস ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ৯০০ জনের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। জেলাকেন্দ্রিক আবেদনের ভিত্তিতে ভর্তি করা যাবে। ঠিক হয়েছে, যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা অসুস্থ বা মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে রয়েছেন, তাঁদের বদলি গ্রাহ্য হবে না। যাঁদের সন্তান ছোট, তাঁদেরও বদলির তালিকায় রাখা হবে না। যে সমস্ত প্রার্থীর অবসর সামনেই, তাঁদেরও বদলি করা হবে না। এমনই বেশ কিছু নীতি আনতে চলেছে শিক্ষা দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy