উচ্চমাধ্যমিকের ভূগোল নিয়ে পরামর্শ অভিজ্ঞ শিক্ষিকার প্রতীকী ছবি।
সোমবার এই বছরের উচ্চমাধ্যমিকের ভূগোল পরীক্ষা। শেষ মুহূর্তে পরীক্ষার প্রস্তুতিও চলছে জোরকদমে। পরীক্ষার শেষ দিন বলে অল্প অল্প আনন্দ হলেও পরীক্ষা নিয়ে এক্কেবারে চিন্তামুক্ত হওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। পরীক্ষার জন্য কোন টপিক না পড়লেই নয়, পরীক্ষায় কী প্রশ্ন আসতে পারে, কোন প্রশ্ন কী ভাবে লিখলে নম্বর বেশি উঠবে, কোন জিনিসগুলি একেবারেই ভুললে চলবে না-- এ সব চিন্তাই সারাক্ষণ ঘুরপাক খাচ্ছে মাথার ভিতর। তাই এই পরীক্ষার নানা দিক নিয়ে তাঁর মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন অভিজ্ঞ শিক্ষিকা।
প্রশ্নের ধরনঃ প্রশ্নপত্রে প্রথমেই থাকবে ২১ টি এমসিকিউ প্রশ্ন। প্রতি প্রশ্নে থাকবে ১ নম্বর। উত্তরপত্রের নির্দিষ্ট খোপে সঠিক বিকল্পটি লিখতে হবে। সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন বা এসএকিউ থাকবে ১৪টি। কিছু প্রশ্নের সঙ্গে বিকল্প দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রেও প্রতি প্রশ্নে ১ নম্বর করে থাকবে। উত্তরপত্রের নির্ধারিত অংশে অল্প কথায় গুছিয়ে উত্তর লিখতে হবে, যাতে কোনও পয়েন্ট বাদ না যায়। বাকি ৩৫ নম্বরের জন্য ৫টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতি প্রশ্নে থাকবে ৭ নম্বর। তবে ৭ নম্বরের প্রশ্নগুলি ৫+২, ৩+৪ অথবা ৩+২+২ আকারে বিভাজিত হতে পারে।
সময় নির্ধারণঃ যে হেতু ভূগোলের ৩০ নম্বরের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা আগেই হয়ে গিয়েছে। সোমবারের থিওরি পরীক্ষা হবে বাকি ৭০ নম্বরের উপর। মোট সময় থাকবে ৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। এই সময়ের মধ্যে ভাল ভাবে পরীক্ষা শেষ করার ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের বিশেষ সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
নম্বর বাড়ানোর কৌশলঃ পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোর জন্য বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা যেতে পারে, সেগুলি হল-
১. ছোট ছোট অনুচ্ছেদে উত্তর লিখতে হবে। তাতে উত্তর বোঝার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না পরীক্ষকদের। বেশি নম্বর মেলার সুযোগও বাড়বে।
২. কোনও প্রশ্নে আলাদা করে ছবি আঁকার কথা উল্লেখ না করা হলেও, প্রশ্নের উত্তরকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য কিছু সহজ স্কেচ করতে পারলে তা পরীক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বাধ্য। ফলে নম্বরও বেশি পাওয়া যাবে।
৩. উদাহরণ দিয়ে ভাল ভাবে বুঝিয়ে উত্তর লিখতে হবে।এর ফলে উত্তর বোঝার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না।
৪. হেডিং বা সাব হেডিংয়ের তলায় দাগ দিলে উত্তর আরও আকর্ষণীয় হবে।
৫. উত্তরপত্রে অযথা কাটাকুটি না করে যতটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা যায়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৬. যে প্রশ্নে যতো ভাগ বা বিভাজন রয়েছে, সেই প্রশ্নগুলির উত্তর করলে বেশি নম্বর তোলার সম্ভাবনা আছে।
গুরুত্বপূর্ণ টপিকঃ
১. কার্স্ট অঞ্চলের ভূমিরূপ।
২. সমুদ্রতরঙ্গের কাজ।
৩. ডেভিসের ক্ষয়চক্র।
৪. মৃত্তিকা সৃষ্টির উপাদান।
৫.স্বাভাবিক উদ্ভিদের উপর জলবায়ুর প্রভাব।
৬. ঘূর্ণাবর্ত।
৭. জীববৈচিত্র।
৮. অর্থনৈতিক কার্যাবলির শ্রেণিবিভাগ।
৯. বসতির শ্রেণিবিভাগ।
তবে, এটা সব সময়ই মনে রাখা প্রয়োজন, সাফল্যের কোনও শর্টকাট হয় না। প্রতিটি অংশ খুঁটিয়ে পড়ে গেলেই পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট হবে।
(পরামর্শ দিয়েছেন চেতলা বয়েজ হাইস্কুলের ভূগোলের শিক্ষিকা চৈতালি চন্দ্র )
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy