অ্যাকাউন্টেন্সি পরীক্ষা সংক্রান্ত পরামর্শ। প্রতীকী ছবি।
বাণিজ্য শাখার সঙ্গে পড়ুয়াদের পরিচয় উচ্চমাধ্যমিক স্তরেই। বাণিজ্যের বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল অ্যাকাউন্টেন্সি বা হিসাবশাস্ত্র। উচ্চমাধ্যমিকে বৃহস্পতিবারই রয়েছে এই বিষয়ের পরীক্ষা। অ্যাকাউন্টেন্সিতে ভাল ফল করা যে খুব কঠিন বিষয়, তা নয়। ভাল ভাবে ভাবনাচিন্তা করে উত্তর করলেই প্রচুর নম্বর তোলা সম্ভব এ ক্ষেত্রে। আর যে হেতু ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই, এই শেষ মুহূর্তে কোন কোন টপিক গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, পরীক্ষার সময় কী কী মাথায় রাখতে হবে বা কোন প্রশ্নে ভাল নম্বর মিলতে পারে, সেই সমস্ত বিষয়ে জরুরি পরামর্শ দিয়েছেন অভিজ্ঞ শিক্ষক।
প্রথমেই জানা প্রয়োজন, অ্যাকাউন্টেন্সি বা হিসাবশাস্ত্রের ক্ষেত্রে আগে প্রবলেমটা ভেবে নিয়ে তার পর তার সমাধান করা ভাল। কারণ, এ ক্ষেত্রে উত্তর মেলানোটাই আসল নয়, কী ভাবে সমাধান করা হচ্ছে, সেটিও দেখা হয়।
প্রশ্নের ধরন এবং গুরুত্বপূর্ণ টপিক: এ বছর প্রশ্নপত্র এবং উত্তরপত্র যে আলাদা, তা প্রায় সকলেরই জানা। বৃহস্পতিবারের পরীক্ষায় উত্তরপত্রের প্রথম ভাগে থাকবে এমসিকিউ-ধর্মী প্রশ্ন। ১ নম্বরের এই প্রশ্নে মোট.২৪ নম্বর থাকবে। পরের ভাগে এসএকিউ প্রশ্নে ১ নম্বর করে মোট ১২ নম্বর থাকবে। এর পরের তৃতীয় ভাগের প্রশ্নে থাকবে ৪ নম্বর করে। এখানে প্রশ্ন আসতে পারে প্রফিট অ্যান্ড লস-এর অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন-এর প্রবলেমের উপর বা থিওরির উপর। এ ক্ষেত্রে প্রবলেমের সমাধান করলে নম্বর বেশি তোলা সম্ভব। এর পর ৪ নম্বর প্রশ্ন থেকে ‘ইস্যু অব শেয়ার’ থেকে প্রশ্ন থাকবে। এর জন্য ‘রি-ইস্যু অব শেয়ার’ বা ‘অ্যাসেট পারচেজ়’ সংক্রান্ত প্রশ্নগুলি গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া, থিওরি থেকে থাকতে পারে সংক্ষিপ্ত টিকা। ৫ নম্বর প্রশ্নে ‘ইস্যু অব ডিবেঞ্চার’ সংক্রান্ত প্রব্লেমগুলি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। ৬ নম্বর প্রশ্নের জন্য ‘রিটায়ারমেন্ট অব আ পার্টনার’ বা ‘ডেথ অব আ পার্টনার’ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি ক্ষেত্রেই থিওরির প্রশ্ন থাকলেও প্রবলেমের সমাধান করাটা বুদ্ধিমানের কাজ। কেন না, নম্বর উঠবে বেশি। ৭ নম্বরের প্রশ্নে ‘ইস্যু অব শেয়ার’-এর প্রবলেমগুলি গুরুত্বপূর্ণ। এর সঙ্গেও থাকবে থিওরির কোনও প্রশ্ন। ‘শেয়ার ফোরফিচার’ বা ‘কলস ইন এরিয়ার’ এবং ‘কলস ইন অ্যাডভান্স’-এর প্রবলেমগুলি এই বছরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ৮ নম্বর প্রশ্নে থাকতে পারে ‘অ্যাডমিশন অব আ পার্টনার’-এর একটি প্রবলেম। ৯ নম্বর প্রশ্নে থাকতে পারে ‘অনুপাত’ সংক্রান্ত প্রবলেম, ‘কমন সাইজ ইনকাম স্টেটমেন্ট’ বা ‘কম্পারেটিভ ইনকাম স্টেটমেন্ট’ সংক্রান্ত প্রবলেম। থাকতে পারে থিওরির প্রশ্নও। ১০ নম্বর প্রশ্নে আসতে পারে ‘কমপিউটার’ সংক্রান্ত প্রবলেম। ৯ এবং ১০ নম্বরের প্রশ্নের মধ্যে বিকল্প দেওয়া হবে। এর পর ১১ নম্বরের প্রশ্নের জন্য ‘ক্যাশ ফ্লো স্টেটমেন্ট’ তৈরি করতে এবং ১২ নম্বর প্রশ্নে আবারও ‘কম্পিউটার’ সংক্রান্ত প্রশ্ন দেওয়া হতে পারে। দু’ক্ষেত্রেই থিওরি প্রশ্নের বিকল্প দেওয়া হবে।
যে যে বিষয় মাথায় রাখতে হবেঃ
১. এমসিকিউ এবং এসএকিউ-এর জন্য গত বছরগুলির প্রশ্নপত্রগুলির সমাধান করা গেলে কিছু ‘কমন’ পাওয়া যেতে পারে। এর পাশাপাশি টেস্ট পেপার সমাধান করলেও তা কাজে লাগতে পারে।
২. প্রবলেমের সমাধান করার সময় খোপ কাটার জন্য পেন্সিল এবং স্কেল ব্যাবহার করলে ভাল।
৩. উত্তর প্রথমে পেন্সিলে লিখে উত্তর নিয়ে নিশ্চিত হলে তা পেন দিয়ে লিখলে কাটাকুটির সম্ভাবনা কম থাকে।এর ফলে খাতা অপেক্ষাকৃত পরিচ্ছন্ন থাকে।
৪. বড় প্রশ্নের উত্তর একটি পাতায় শেষ হলে, পরবর্তী উত্তর শুরু করতে হবে পরের পৃষ্ঠা থেকে।
৫. প্রবলেমের সমাধান করার সময় পাশে ‘ওয়ার্কিং নোট’ দিতে হবে।
৬. শেষ মুহূর্তে নতুন কোনও বিষয় না পড়ে, পুরনো বিষয়গুলিই ভাল ভাবে দেখে যাওয়া শ্রেয়। শরীর সুস্থ রেখে ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষা দিলে রেজাল্ট নিশ্চয়ই ভাল হবে।
(পরামর্শ দিয়েছেন চেতলা বয়েজ হাই স্কুলের সহকারী প্রধান তথা বাণিজ্য বিষয়ের শিক্ষক শুভ্র চক্রবর্তী।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy