প্রতীকী ছবি
সদ্য পড়াশোনা শেষ করে চাকরি খোঁজার সময় সব থেকে প্রথমে যে বিষয়টির দিকে নজর দিতে হয়, তা হল জীবনবৃত্তান্ত। যা সহজ ভাষায় রিজ়িউম বা কারিকুলাম ভিটা (সিভি) নামে প্রচলিত। এই প্রতিবেদনে সিভি কী ভাবে লিখলে চাকরির ক্ষেত্রে সাহায্য হতে পারে, সেই বিষয়ই বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
বলা হয়, কোনও ইন্টারভিউতে কোনও প্রার্থীর সিভি ৩০ সেকেন্ডের বেশি দেখা হয়না, তাই সিভি বানানোর সময় যে বিষয়গুলি বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া উচিত তা নীচে আলোচনা করা হল।
সিভি তৈরি করার সব থেকে ভাল ফরম্যাট হল ওয়ার্ড ডকুমেন্ট। সাধারণত বেশির ভাগ সিভি-ই এই ফরম্যাট এ তৈরি করা হয়। ওয়ার্ড ডকুমেন্ট ফরম্যাটে বা পিডিএফ ফরম্যাটে সিভি তৈরি করলে তা সব ধরনের কম্পিউটারে সাপোর্ট করে। এবং পিডিএফ ফরম্যাটে কোনও সিভি বানালে সেটি কোনও ভাবেই এডিট করা যায় না, তাইএই ফরম্যাটে তৈরি সিভি অনেকটাই নিরাপদে থাকে।
সিভির সবথেকে উপরের অংশে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বলতে নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, মেল আইডি দেওয়া থাকে। সিভির পাতার একেবারে উপরের অংশে ডান দিক বা বাঁ দিক করে এই তথ্যগুলি দিলে সিভি প্রথমেই অনেকটাই আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
এর পর যে বিষয়টিতে নজর দিতে হয়, তা হল কি ওয়ার্ড। অর্থাৎ কোনও প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, কর্মক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা, স্কিলগুলিকে সিভির প্রথমে কিওয়ার্ডের সাহায্যে লিখলে তা অনেকটাই বেশি চোখে পড়ে। ধরা যাক, কাজের ক্ষেত্রে কেউ যদি, ডিজিট্যাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করেন, তা হলে সেই বিষয়টি প্রথমেই কিওয়ার্ডে এর মতো করে লিখে দেওয়া ভাল।
প্রতিটি কিওয়ার্ড লেখার সময় বুলেট ব্যবহার করা ভাল। বুলেট ব্যবহার করলে, যিনি সিভিটি দেখছেন, তাঁর নজর সহজেই পড়বে কিওয়ার্ডের উপরে।
সিভি সব সময় পরিষ্কার ডিজ়াইনের হওয়া ভাল। পরিষ্কার, সহজ এবং সাধারণ ডিজ়াইন ব্যবহার করেই সিভি তৈরি করা ভাল।
সিভিতে সব সময় বানান, ব্যাকরণ, যতিচিহ্ন সঠিক হওয়া উচিত। এই বিষয়গুলিতে কখনও ভুল করা উচিত নয়।
অপ্রয়োজনীয় তথ্য সিভিতে না দেওয়াই ভাল।
সিভিতে কখনও কোনও ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের নাম রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করা উচিত নয়।
কোনও রকম ভুল তথ্য বা মিথ্যা তথ্য দেওয়া উচিত নয় সিভিতে।
নিজের বিষয়ের যে তথ্যগুলি প্রথমে কিওয়ার্ড এর মতো করে লেখা হয়, সেগুলি পরে টেবিল বা পয়েন্ট করে বিস্তারিত আকারে লিখলে ভাল।
যখন কাজের ক্ষেত্রে সিভি তৈরি করা হচ্ছে তখন প্রার্থীকে এই বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে, যিনি প্রার্থীর সিভি দেখবেন তিনি প্রার্থীকে আগে থেকে চেনেন না। সম্পূর্ণ পরিচয় নির্ভর করে প্রার্থীর সিভির উপর। তাই সিভি সবসময় এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে তৈরি করলে চাকরির ক্ষেত্রে অনেকটা সুবিধা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy