জয়েন্ট পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষকের পরামর্শ। প্রতীকী ছবি।
চলতি বছরে দ্বিতীয় সেশনের জয়েন্ট এনট্রান্স মেন পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে এপ্রিলের শুরু দিকে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিও চলছে জোর কদমে। জয়েন্ট পরীক্ষার সময় কোন কোন দিকে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া প্রয়োজন, সেই বিষয়ে জানাচ্ছেন অভিজ্ঞ শিক্ষক।
ভাল ফল করার ইচ্ছেটা যদি পড়ুয়াদের মধ্যে চলে আসে, তা হলে অনেক কিছুই সহজ হয়ে যায়। এর কারণ হল ইচ্ছেটাই মানুষকে চালিত করতে পারে।
বিষয়গুলির সম্বন্ধে ধারণা খুব পরিষ্কার হওয়া দরকার। সংজ্ঞাগুলি খুব ভাল ভাবে বুঝতে হবে এবং মনে রাখতে হবে। এটা সমস্যা সমাধানে খুব সাহায্য করে। মনে রাখতে হবে জয়েন্টের (সব) প্রশ্নপত্র অন্য রকম হয়।
এখানে মুখস্থের চেয়ে বোঝার গুরুত্ব অনেক বেশি। পড়ার সময়ে বিষয় বাছা ঠিক নয়। এখন বেশির ভাগ পড়ুয়ারা কোনও কোচিং ক্লাসে তৈরি হয় জয়েন্ট পরীক্ষার জন্য। তবে, যদি কোচিং ক্লাশে গেলেই ফল ভাল হত, তাহলে সবাই ভাল ফল করত। তাই তফাতটা কোথায়, সেটা বোঝা খুব প্রয়োজন।
তফাতটা হয়ে যায় নিজের প্রস্তুতির জন্য এবং এটা নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের উপর নির্ভরশীল। সুতরাং, এখানে কোনও ফাঁক যেন না থাকে ।
শুধু মক টেষ্টের উপর ভরসা করা উচিত নয়। ভাল বই থেকে পড়া এবং প্রশ্ন উত্তর করা ভাল। কোনও একটা প্রশ্ন না পারলে, ঠিক উত্তর জেনে নিতে হবে এবং তার ব্যাখ্যাও জানতে হবে।
পরীক্ষার হলে কখনও ভয় পাওয়া চলবে না। বরং, প্রশ্নপত্র দেওয়ার আগে নিজের মন একাগ্র এবং শান্ত করে নেওয়া ভাল।
মাত্র কয়েক ঘণ্টার পরীক্ষা। কাজেই নিজের ক্ষমতা উজাড় করে চেষ্টা করতে হবে। এগুলি পাশ, ফেলের পরীক্ষা নয়। সুতরাং, যে একটা প্রশ্ন বেশি উত্তর করবে (ঠিকমত), সে কিন্তু অনেক এগিয়ে যেতে পারে।
প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর সমস্তটা দেখে নেওয়া উচিত। এর ফলে কোন উত্তর লেখা যেতে পারে, তা বোঝা অনেকটা সহজ হয়ে যায়। প্রথমে সহজ, তার পরে কঠিন প্রশ্নগুলি লিখলে পরীক্ষার সময় অনেক সহজ হয়ে যায়।
কোনও একটা প্রশ্নের উত্তর বেশি সময় নিলে, অন্য কোনও প্রশ্নে চলে যাওয়া উচিত। সময় খেয়াল রাখা ভীষণ জরুরি।
তাই, পরীক্ষা চলাকালীন কোনও রকম চিন্তা না করে, শান্ত ভাবে মনোযোগের সঙ্গেই প্রশ্নের উত্তর লেখা ভাল।
পরামর্শ দিয়েছেন হেরিটেজ ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির ইসিই বিভাগের প্রধান প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy