প্রতীকী ছবি
আইনজীবিকা নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে। আদালতকক্ষে সওয়াল-জবাব, যুক্তি-তর্কের এই জগতে প্রবেশের জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পাশ করা। এই প্রতিবেদনে আইনজীবী হওয়ার জন্য কী প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি রয়েছে, সে বিষয় খুঁটিনাটি জানালেন আইনজীবী শালিনী মুখোপাধ্যায়।
আইনজীবী হওয়ার প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি:আইনজীবী হওয়ার দু’টি পদ্ধতি রয়েছে। প্রথমটিতে ৫ বছরের বিএএলএলবি কোর্স করতে হয়। দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করার পর সরকারি বা বেসরকারি কোনও ল কলেজে ৫ বছরের প্রশিক্ষণ নিতে হয়। দ্বিতীয় পদ্ধতি, ৩ বছরের এলএলবি (ব্যাচেলর অফ ল) কোর্স করতে হয়। মূলত, যদি কেউ অন্য স্ট্রিমে স্নাতক পাশ করে আইন নিয়ে পড়াশোনা করতে চান, তা হলে তাঁকে তিন বছর ভারতের যে কোনও ল কলেজে প্রশিক্ষণ নিতে হয়।
যোগ্যতা: আইনজীবী হওয়ার জন্য একজন প্রার্থীকে অবশ্যই দ্বাদশ শ্রেণি পাশকরতে হবে। দ্বাদশ শ্রেণিতে যে কোনও বিভাগে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বরথাকা বাঞ্ছনীয়।
প্রবেশিকা পরীক্ষা: দ্বাদশ শ্রেণির পর ভারতের যে কোনও আইন কলেজে ল পড়ারজন্য প্রার্থীকে ক্ল্যাট (কমন ল অ্যাডমিশন টেস্ট) নামের প্রবেশিকা পরীক্ষাদিতে হয়। সর্বভারতীয় স্তরে ক্ল্যাট র্পরীক্ষা ছাড়াও রাজ্য স্তরে আইনের বিভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা রয়েছে। সেই প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলি দিয়েও এক জন প্রার্থী রাজ্যের বিভিন্ন আইন কলেজে ভর্তি হতে পারেন।
যে বিষয়গুলির উপর ক্ল্যাট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়, সেগুলি হল:ইংরেজিআইন যৌক্তিক বিশ্লেষণসাধারণ জ্ঞান এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলিকোয়ান্টেটিভ টেকনিকস মোট ১৫০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। প্রতি সঠিক উত্তরে ১ নম্বর দেওয়া হয়। এবংভুল উত্তরে ০.২৫ নম্বর কাটা হয়। সম্পূর্ণ পরীক্ষা হয় ২ ঘণ্টার। এই পরীক্ষা পাশ করার পরই এক জন প্রার্থী ভারতের যে কোনও আইন কলেজে পড়াশোনার জন্য আবেদন করতে পারেন।
বিএএলএলবি, এলএলবি-র পর ইন্টার্নশিপ: আইন বিষয় পড়াশোনার পর ইন্টার্নশিপ করা বাধ্যতামূলক। আদালতে কী ভাবে শুনানি হয়, বাদী ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবীরা কী ভাবে যুক্তি তর্কের অবতারণা করেন— যাবতীয় বিষয় ইন্টার্নশিপে শেখানো হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আইন কলেজগুলি শিক্ষার্থীদের পঞ্চম সেমিস্টারের পর নম্বরের ভিত্তিতে ইন্টার্নশিপের সুযোগ করে দেয়।
বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া-র পরীক্ষা:
আইনজীবী হওয়ার জন্য ইন্টার্নশিপের পর বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া-রপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই একজন শিক্ষার্থী আদালতে কাজ শুরু করার জন্য একটি শংসাপত্র পেয়ে থাকেন। যার সাহায্যে ভবিষ্যতে একজন শিক্ষার্থী আইনজীবী হতে পারেন।
এ ছাড়াও পরবর্তী সময় যদি কেউ আইন নিয়ে আরও পড়াশোনা করতে চান, সেক্ষেত্রে বিএএলএলবির পর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এলএলএম (মাস্টার্স অব ল), পিএইচডি, এমফিল রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy