Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Pharmacy Education in India

ফার্মাসি শিক্ষা নিয়ে বিশেষ বিল, খসড়া প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক

এই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে জাতীয় ফার্মাসি কমিশন বিল, ২০২৩-এর একটি খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। এই খসড়ায় ফার্মাসি শিক্ষার অগ্রগতির বিষয়ে বেশ কিছু প্রস্তাবনা রাখা হয়েছে।

Pharmacy lab.

প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:০০
Share: Save:

ফার্মাসি নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানগুলিতে উচ্চশিক্ষার চাহিদা বেড়েছে। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে এই বিষয়ে একটি নতুন বিলের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। ১০ নভেম্বর প্রকাশিত হওয়া ওই বিলের খসড়ার প্রথম পর্বেই ফার্মাসি শিক্ষা বিভাগকে আরও উন্নত পরিকাঠামোর আওতায় আনার বিষয়ে প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ের চাহিদা অনুযায়ী, ফার্মাসি বিষয়ে পেশাদার হিসাবে কাজ করার স্বার্থে যে ধরনের পরিকাঠামো প্রয়োজন, তা সুনিশ্চিত করতে ন্যূনতম খরচে উন্নততর পরিবেশে শিক্ষাগ্রহণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিটি নাগরিক যাতে পেশাদার ফার্মাসিদের সহায়তা পেতে পারেন, সেই বিষয়টিও এই প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে। এর জন্য ১৯৪৮ সালের ফার্মাসি অ্যাক্টের পরিবর্তে এটিকে 'ন্যাশনাল ফার্মাসি কমিশন অ্যাক্ট, ২০২৩' নামে প্রচলিত করার ভাবনাও প্রকাশ করা হয়েছে।

এই খসড়ায় শিক্ষাগ্রহণের ক্ষেত্রে নিয়মিত ও সঠিক মূল্যায়ন এবং পেশাদারি ক্ষেত্রের অন্যান্য ভ্রান্তি এড়াতে সমস্ত ফার্মাসি প্রতিষ্ঠানকে ফার্মাসি এডুকেশন বোর্ডের আওতায় আনার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এই বোর্ডের দু’টি বিভাগ দুটি পৃথক বিষয়ে নজরদারি করবে। দ্য ফার্মাসি অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড রেটিং বোর্ড নির্দিষ্ট সময় অন্তর পড়ুয়াদের মূল্যায়ন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামোগত দিকগুলি খতিয়ে দেখবে।

অন্য দিকে, দ্য ফার্মাসি এথিকস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন বোর্ড পেশাদারি ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত পরিবর্তনের সঙ্গে চাহিদা অনুযায়ী সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নীতিগত বিষয়গুলির উন্নতি করার বিষয়টি দেখবে। ফার্মাসি ক্ষেত্রে কর্মরত ব্যক্তিদের কাজের ক্ষেত্রে কী কী বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন, ন্যাশনাল রেজিস্ট্রারটিকে রক্ষণাবেক্ষণ করা, এবং ফার্মাসিতে পেশাদারদের যোগ্যতা যাচাই করে নেওয়া ইত্যাদি বিষয়েও নজরদারি করবে এই বোর্ডটি।

এই খসড়ায় শিক্ষাগ্রহণ এবং পেশাদারি ক্ষেত্রে কাজের পাশাপাশি, এই বিষয়টি নিয়ে আধুনিক মানের গবেষণার বিষয়েও বিশেষ ভাবে নজর দেওয়ার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফে উল্লিখিত প্রস্তাবনা সম্পর্কে নাগরিকদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। আগ্রহী ব্যক্তিরা ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইমেল মারফত এই খসড়া বিলের বিষয়ে যাবতীয় মতামত লিখে পাঠাতে পারবেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE