প্রতীকী চিত্র।
কয়েক দিন আগেই নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে সরকার এবং সরকার পোষিত বিভিন্ন স্কুলের জমি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয়। আর সেই নির্দেশ মতো সমস্ত স্কুলের জমি সংক্রান্ত সম্পত্তির তথ্য চেয়ে পাঠাল স্কুল শিক্ষা দফতর, যা নিয়ে স্কুলগুলিতে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি।
রাজ্যে বহু শতবর্ষপ্রাচীন স্কুলে শিক্ষা দফতরের এ হেন নির্দেশিকায় বাড়ছে চিন্তা। কারণ সেই সমস্ত স্কুলের জমির তথ্য আদৌও মিলবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। বেশ কিছু স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, এই তথ্য জানতেই পারে সরকার, তবে স্কুলের নিজস্ব জমির তথ্য কেন জানাবে তারা, এই বিষয়টি পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়নি।
এই বিষয়ে পার্ক ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় পাঁজা বলেন,“আমাদের স্কুল বহু পুরনো, হঠাৎ করে সম্পত্তির তথ্য চাওয়ায় তা খুঁজে বের করা যথেষ্ট কঠিন। আর এই ধরনের তথ্য বের করার জন্য সময়ও যথেষ্ট কম দিয়েছে দফতর। সম্পত্তির তথ্য তাও ঠিক ছিল, ফিক্সড ডিপোজিট কেন জানাব? তা তো নিজস্ব।”
সরকারের এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে শিক্ষক মহলে আশঙ্কার মেঘ তৈরি হয়েছে। কী কারণে এই ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও বার্তা নেই সরকারের।
এ প্রসঙ্গে, বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “সরকার এই তথ্য নিয়ে কী করতে চাইছে তা স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে অন্য উদ্দেশ্য আছে সরকারের, আমাদের সন্দেহ, উদ্বৃত্ত সম্পদ সরকার নিয়ে নেবে না তো? ”
এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “শেষ যে প্রশাসনিক বৈঠক হয়েছিল তাতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কোন দফতরের আওতায় কত জমি রয়েছে তার হিসাব তৈরি করতে, আমরা সেই প্রক্রিয়াই গ্রহণ করছি। তবে, স্কুলগুলির ক্ষেত্রে গ্রহণ করার প্রক্রিয়া শুরু করলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্বাধিকার রয়েছে, তাই আমরা এখনও এই প্রক্রিয়া শুরু করিনি।”
যে সমস্ত স্কুলের কাছে এই তথ্যগুলি আছে তাদের কাছে জানানো সহজ হলেও প্রশ্নের উত্তর অধরা থেকে যাচ্ছে অনেক স্কুলের কাছে। ল্যান্ড ব্যাঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে, না কি অন্য কোনও কারণ, সেই ব্যাখ্যাই এখন প্রাসঙ্গিক হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই বিষয়ে নারায়ণ দাস বাঙ্গুর মাল্টিপারপাস স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, “আমাদের কাছে তথ্য আছে আমরা সরকারকে জানিয়ে দেব, কিন্তু বহু স্কুলের কাছে তথ্য নেই, এ ক্ষেত্রে তারা সমস্যায় পড়বে। আর কেনই বা হঠাৎ করে চাইছে তা এখনও স্পষ্ট করেনি সরকার।”
বেশ কিছু স্কুল শিক্ষক সংগঠনের বক্তব্য, উদ্যোগ ভাল হলেও যাদের কাছে তথ্য নেই তারা কী করবে সেই জটিলতা দূর করা উচিত সরকারের। কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-র সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, “ভাল উদ্যোগ, কিন্তু পুরনো স্কুলগুলির কাছে এই তথ্য নেই। তাদের ক্ষেত্রে সাময়িক ভাবে জটিলতা দূর করে ফেলা আবশ্যক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy