বসন্ত পঞ্চমী তিথিতে ছক ভাঙার গল্প লিখলেন সৃজিতা ভট্টাচার্য। জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজের অ্যালায়েড হেলথ্ সায়েন্স বিভাগের প্রথম বর্ষের এই ছাত্রী প্রতিষ্ঠানের সরস্বতী পুজোয় পৌরোহিত্য করেছেন। মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি টেকনোলজিতে ডিপ্লোমার প্রথম বর্ষেই এমন সুযোগ পেয়ে কেমন লেগেছিল তাঁর? সৃজিতার কথায়, “মায়ের চরণে এত কাছ থেকে নৈবেদ্য অর্পণের সৌভাগ্য সবার হয় না। আমি ভীষণ খুশি হয়েছি।”
জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজের অ্যালায়েড হেলথ্ সায়েন্স স্টুডেন্টস ইউনিটের এই পুজোয় বিভাগীয় জুনিয়র, সিনিয়রের পাশাপাশি, অন্যান্য বিভাগের পড়ুয়ারাও অংশগ্রহণ করেছিলেন। কলেজের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট এবং স্টুডেন্টস ইউনিটের অ্যাডভাইজ়ার মৈনাক সাহা বলেন, “পৌরোহিত্যের অধিকার সকলের রয়েছে। সৃজিতা সঠিক ভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে মন্ত্রোচ্চারণ করে পুজো সম্পন্ন করবেন, এমন আশা করেই এ বছরের পুজোয় প্রথম বারের জন্য তাঁকে পৌরোহিত্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। বলা বাহুল্য, বয়সে নবীন হওয়া সত্ত্বেও সেই দায়িত্ব শুদ্ধমনে সৃজিতা পালন করেছেন।”

ছাত্রীর পৌরোহিত্যে বাগদেবীর আরাধনায় শামিল সকলেই। নিজস্ব চিত্র।
প্রথম বার মহিলা পুরোহিত পুজো করবেন। সেই পুজোয় আমন্ত্রিত ছিলেন মেডিক্যাল কলেজের ডিন-ও। মৈনাক জানিয়েছেন, এ বছরের পুজোর বিষয়ে শুরু থেকেই ডিনকে সবটা জানানো হয়েছিল। তিনি শুরু থেকেই উৎসাহ দিয়েছিলেন, এমনকী পুজোর দিন দেবী দর্শনও করে গিয়েছিলেন। সৃজিতার সঙ্গে কি ডিনের সাক্ষাৎ হয়েছিল? ওই ছাত্রীর কথায়, “আমি কলেজের পুজো সেরে বাড়ির পুজোর জন্য বেরিয়ে গিয়েছিলাম। তবে শুনেছি তিনি এসেছিলেন।”
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ অ্যালায়েড অ্যান্ড হেলথকেয়ার সেলের রাজ্য জয়েন্ট কনভেনার সূর্য সিংহ মহাপাত্র বলেন, “আজ আরও এক বার প্রমাণিত হল, যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। আগামী দিন নিশ্চয়ই আমরা আরও অনেক সৃজিতাকে দেখতে পাব, যাঁরা সমাজের বাঁধাধরা ছক ভাঙার গল্প লিখবে।”