প্রতীকী ছবি।
সদ্যই ২০২৩ সালের ন্যাশনাল এলিজিবিলিটিকাম এন্ট্রান্স টেস্ট (নিট) ইউজি-এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। চিকিৎসক হওয়ার লক্ষ্যে প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষায় বসার সুযোগ পান। মেডিক্যালে স্নাতকস্তরে ভর্তি হওয়ার জন্য এই পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু সব পড়ুয়া ভালো ফল করে উঠতে পারেন না। মাত্র এক-দুই নম্বরের জন্যেও হাতছাড়া হয় এমবিবিএস ডিগ্রিতে পড়ার সুযোগ।
সেই সমস্ত পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে মেডিক্যাল নিয়ে পড়াশোনার জন্য রয়েছে বিকল্প পথ। এই বিষয়ে রাধা গোবিন্দ কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল (আরজিকর)-এর কার্ডিওথোরাসিক অ্যান্ড ভাসকুলার সার্জারি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক তথা চিকিৎসক সুমন চট্টোপাধ্যায় কী জানিয়েছেন, দেখে নিন এক নজরে।
প্রশ্ন: নিট ইউজিতে অনেকেই ভালো ফলাফল করতে পারেন না, সেক্ষেত্রে কী তাঁদের চিকিৎসা ক্ষেত্রের বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ নেই?
সুমন চট্টোপাধ্যায়: নিট ইউজিতে ভালো ফলাফল না করলেও নিরাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই। এমবিবিএস ছাড়াও বেশ কিছু স্নাতকস্তরের পাঠক্রম রয়েছে, যার জন্য নিট-এর নম্বরের প্রয়োজন পড়ে না। তাই স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে তেমন কোনও প্রতিবন্ধকতা নেই। এই বিষয়গুলিকে প্যারামেডিক্যালের অংশ হিসাবেই চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।
প্রশ্ন: সেক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলি নিয়ে পড়াশোনা করা যেতে পারে?
সুমন চট্টোপাধ্যায়: স্নাতকস্তরে যে বিষয়গুলি পড়ার সুযোগ রয়েছে, সেগুলি হল— ব্যাচেলর অফঅকুপেশনাল থেরাপি (বিওটি), ব্যাচেলর অফ ফিজিওথেরাপি (বিপিটি),ব্যাচেলর অফ ভেটেরিনারি সায়েন্স, ব্যাচেলর অফ অডিওলজি অ্যান্ড স্পিচ ল্যাঙ্গুয়েজ প্যাথোলজি, ব্যাচেলর অফ অপ্টোমেট্রি (বিওপিটিওএম)। এছাড়াও ব্যাচেলর অফ সায়েন্স ডিগ্রির অধীনে কৃষিবিজ্ঞান, রেডিয়োগ্রাফি, মেডিক্যাল ল্যাব টেকনোলজি, ক্লিনিক্যাল রিসার্চ, বায়োটেকনোলজি, বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কার্ডিওভাসকুলার টেকনোলজি, শারীরবিদ্যা, অণুজীববিদ্যা, জীবন বিজ্ঞান, সাইকোলজি, খাদ্য বিজ্ঞানী, পুষ্টি এবং ডায়েটিক্স, জেনেটিসিস্ট, ফার্মেসি এবং নার্সিং বিষয়গুলি নিয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
প্রশ্ন: স্নাতকস্তরে কী শুধু মাত্র ডিগ্রি কোর্সের অধীনেই এই ধরনের বিষয়ে পড়া যায়?
সুমন চট্টোপাধ্যায়: যদি কোনও পড়ুয়া স্নাতকস্তরে ডিগ্রি কোর্সে পড়াশোনা করতে না চান, সে ক্ষেত্রে স্নাতকস্তরেই রয়েছে বেশ কিছু ডিপ্লোমা কোর্স। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ডিপ্লোমা ইনমেডিক্যাল ল্যাবরেটরি টেকনোলজি, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা (এমবিএ), ফরেনসিক সায়েন্স এবং ক্রিমিনোলজি, অপ্টোমেট্রি এবং নিউক্লিয়ার মেডিসিন।
বিশেষজ্ঞের মতে, চিকিৎসক ছাড়াও মেডিক্যাল বিভাগে প্রযুক্তি এবং কারিগরি বিভাগের পেশাদার নবীনদের প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে চিকিৎসা ক্ষেত্রেই বিভিন্ন পেশায় প্রবেশের সুযোগও রয়েছে। সেই কারণে নিট ইউজি-এর ফলাফল খারাপ হলেও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রের বিভিন্ন বিষয়ে করার উচ্চশিক্ষা লাভের যথেষ্ট পরিকাঠামো রয়েছে।
তবে বিষয় যেমনই হোক না কেন, পরিশ্রমের কোনও বিকল্প হয় না। সেক্ষেত্রে সব বিষয়কেই সমান নজরে দেখা এবং ভবিষ্যতে পেশায় প্রবেশের লক্ষ্য নিয়ে এগোনোই শ্রেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy