প্রতীকী ছবি।
ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট আজ অনেকের কাছেই স্বপ্নের পাঠক্রম। পর্যটন আজ আর নিছক বিনোদন নয়, তা হয়ে উঠেছে অগণিত মানুষের জীবিকা অর্জনের ক্ষেত্রও। বর্তমানে এই বিশেষ ক্ষেত্রে পেশাদার হিসেবে কাজের জন্য স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে বিষয়টিকে পড়ানো হয়ে থাকে। ব্যাচেলর অফ বিজ়নেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং মাস্টার অফ বিজ়নেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিগ্রির মতোই পর্যটন শিল্পের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রের জ্ঞান আহরণের সুযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, পর্যটন শিল্পকে বাণিজ্যের আঙ্গিকে দেখা ও তার খুঁটিনাটি বিষয়ে শেখার পাঠক্রমই 'ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট'। এই বিষয়টির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় পর্যটনের খুঁটিনাটি শিখে থাকেন। একই সঙ্গে তাঁদের পর্যটকদের চাহিদার সঙ্গে বাড়তে থাকা প্রবণতার সঙ্গে চিরাচরিত নিয়মগুলির মেলবন্ধন কী ভাবে ঘটানো সম্ভব, সেই সম্পর্কেও সচেতন করা হয়।
এই বিষয়টি কেন স্নাতক এবং তার পরবর্তী স্তরে ট্যুরিজম স্টাডিজ়, ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম-এর মতো বিষয়গুলির থেকে আলাদা, সেই সম্পর্কে কী বলছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মীর আবদুল সফিক?
‘‘পর্যটন নিছক আনন্দ-অবসরের জন্য নয়, সেটি এখন ব্যবসা-বাণিজ্যের আঙ্গিকে মানুষদের পেশাদার অভিজ্ঞতা দেওয়া এবং আর্থ-সামাজিক উন্নতির পাথেয় হয়ে ওঠার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। ঠিক এই কারণেই এই বিষয়টি ধীরে ধীরে স্থানীয় স্তরেও গুরুত্ব পাচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে হোমস্টে সংস্কৃতি বা ব্যাকপ্যাকার্স ক্যাম্পের কথা বলা যেতেই পারে। এর পাশাপাশি, ভারতের মতো বৈচিত্রময় দেশে পর্যটন শিল্পের চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক স্তরে পৃথিবীর প্রথম দশটি পর্যটন শিল্পে সমৃদ্ধ দেশের মধ্যে ভারতের নাম রয়েছে। সে ক্ষেত্রে অতিথি দেব ভবঃ— এই বক্তব্যের সার্থকতা বজায় রাখতে পেশাদার হওয়ার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে।’’
এখানেই আরও একটি প্রশ্ন স্বাভাবিক ভাবেই পাঠকদের মনে জাগতে পারে, এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনার পর পেশাদার হওয়ার ক্ষেত্রে কী করণীয়? অধ্যাপকের মতে, ‘‘দেশের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে স্নাতক এবং স্নাতক স্তরে ব্যাচেলর অফ বিজ়নেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং মাস্টার অফ বিজ়নেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিগ্রির আওতায় ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট পড়ানো হয়ে থাকে। কিন্তু পড়াশোনাটাই শেষ কথা নয়। পর্যটন শিল্পের প্রতি আগ্রহ এবং উদ্দীপনার বিশেষ প্রয়োজন। সদাসর্বদা পরিষেবায় হাজির — এমন মনোভাব না থাকলে পেশাদার হিসেবে বৃহত্তর ক্ষেত্রে কাজের ক্ষেত্রে পরবর্তী কালে সমস্যা বাড়তে পারে। বর্তমানে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়েই এই বিষয়টি নিয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে যেমন পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে, তেমনই প্লেসমেন্টের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সংস্থার পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক সংস্থাতেও পড়ুয়ারা চাকরি পেয়েছেন।’’
সুতরাং, দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণের বিষয়ে যাঁদের গভীর আগ্রহ রয়েছে, তাঁদের জন্য ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। তবে পরিশ্রম এবং সৃজনশীল ভাবনার চর্চা না থাকলে বেশি দূর এগোনোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা আসতেই পারে, জানিয়েছেন অধ্যাপক সফিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy