প্রতীকী চিত্র।
সরকারি চাকরির পরীক্ষা সাধারণত দু’টি ভাগে নেওয়া হয়ে থাকে। প্রিলিমিনারি এবং মেনস পাশ করার পরে ইন্টারভিউয়ের জন্য এগিয়ে যেতে পারেন পরীক্ষার্থীরা। এ ক্ষেত্রে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পাশ করার পরে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাওয়ার কারণে মেনসে অনেকের কাঙ্খিত ফল হয় না। তাই এই দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য কী কী করণীয়, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের উপ-সচিব পার্থ কর্মকার।
প্রথমত, পরীক্ষার ক্ষেত্রে নম্বর ভেদে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়। ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস কমিশন বা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় আলাদা আলাদা বিষয়ে ৫০ থেকে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে। মূলত মেধা এবং দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য মেনসের পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন আসে। তাই পুরো সিলেবাস খুঁটিয়ে পড়া এবং বারবার রিভিশন দেওয়া প্রয়োজন।
দ্বিতীয়ত, প্রিলিমিনারি পরীক্ষা এবং মেনসের প্রস্তুতি একই রকম হলেও পড়াশোনার অভ্যাসে ঢিলেমি দিলে চলবে না। ভাল করে টেক্সট পড়া, বিভিন্ন ধরনের বই থেকে অভ্যাস করে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে আলাদা খাতায় নোট করতে পারলে প্রস্তুতি নিতে কোনও সমস্যাই থাকবে না।
তৃতীয়ত, সময়ের মধ্যে সঠিক উত্তর লিখে আসার চাপে অনেকেই প্রশ্ন ছেড়ে দেন বা অসমাপ্ত রেখে আসেন। মেনসের ক্ষেত্রে তা করলে খাতা যিনি দেখবেন, তাঁর মনে পরীক্ষার্থীর মেধা এবং দক্ষতা সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করবে। তাই কোনও ভাবেই অসম্পূর্ণ উত্তর লিখে আসা বা প্রশ্ন বাদ দেওয়া চলবে না।
সরকারি চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে আলাদা কিছু নিয়ম মানতেই হয়। তাই পরীক্ষার খাতা পেয়েই লিখতে শুরু করলে হবে না। পরীক্ষার হলে এগজ়ামিনারের নির্দেশিকা মতোই কাজ করতে হবে। সময়ের মধ্যে খাতা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে তৈরি করলেও ভাল নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই পরীক্ষার সময়ে সেটাও মাথায় রাখা প্রয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy