২৭ এপ্রিল, রবিবার রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশন। পরীক্ষার আগে মাথা ঠান্ডা রাখতে এবং শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে কী কী করণীয়, তা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের উপসচিব পার্থ কর্মকার।
পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগে:
- খুঁটিয়ে রিভিশন করা প্রয়োজন।
- বিগত কয়েক বছরের প্রশ্নে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
- পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় অ্যাডমিট কার্ড, পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং সরকারি পরিচয়পত্র (পাসপোর্ট / আধার কার্ড / প্যান কার্ড / মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড / স্কুলের আইডি কার্ড / ভোটার আইডি) সঙ্গে রাখা আবশ্যক।
- কোনও বৈদ্যুতিন সামগ্রী, ক্যালকুলেটর, স্মার্ট ওয়ার্চ, মোবাইল ফোন, ঘড়ি, যোগাযোগের সামগ্রী, ব্লুটুথ ডিভাইস সঙ্গে যেন না থাকে।
- উল্লিখিত সামগ্রী পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীর কাছে পাওয়া গেলে, তাঁর পরীক্ষা বাতিল করা হবে।
- পরীক্ষার্থীর বদলে অন্য কোনও ব্যক্তি তাঁর হয়ে পরীক্ষা দিতে এলে, সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হবে।
পরীক্ষা হলে প্রবেশের পর:
- ওএমআর শিট এবং কোয়েশ্চন বুকলেটের নম্বর এক রয়েছে কিনা, তা দেখে নিতে হবে।
- যদি তা না থাকে, দ্রুত ইনভিজ়িলেটরকে বিষয়টি জানাতে হবে।
- রোল নম্বর বা অন্য কোনও তথ্য লিখতে ভুল হলে, কাটাকুটি করা যাবে না।
- প্রয়োজনে এই বিষয়ে ইনভিজ়িলেটরের সঙ্গে কথা বলে নিতে হবে।
প্রশ্নপত্রের ধরন:
অফলাইনে ‘ওএমআর’ শিটে পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রথম পত্রে ১০০ নম্বরের অঙ্কের পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে। দ্বিতীয় পত্রে পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নের পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষা দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত চলবে। দ্বিতীয়পত্রে দু’টি বিষয়ের প্রতিটিতে ৫০ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে।
নম্বর বিভাজন:
- প্রতিটি পত্রের পরীক্ষায় তিনটি ক্যাটেগরির প্রশ্ন থাকবে।
- প্রথম ক্যাটেগরির প্রশ্নের উত্তর সঠিক হলে ১ নম্বর মিলবে, ভুল হলে ১/৪ নম্বর বাদ যাবে।
- দ্বিতীয় ক্যাটেগরির প্রশ্নের ক্ষেত্রে সঠিক উত্তরের জন্য ২ নম্বর দেওয়া হবে। ভুল উত্তরের ক্ষেত্রে বাদ পড়বে ১/২ নম্বর।
- তৃতীয় ক্যাটেগরির প্রশ্নের উত্তর একের থেকে বেশি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে নেগেটিভ মার্কিং থাকছে না। এই ক্যাটেগরির প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২ নম্বর। প্রশ্নের একাধিক অপশন বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে দু’টি সঠিক এবং তৃতীয়টি যদি ভুল উত্তর হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে সঠিক উত্তর দেওয়া সত্ত্বেও ওই প্রশ্নের জন্য কোনও নম্বরই পরীক্ষার্থী পাবেন না।
পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের উপ-সচিবের বার্তা, সময় বাঁচাতে সংক্ষেপে গণনা সম্পূর্ণ করাই ভাল। জানা প্রশ্নের উত্তর আগে শেষ করে নিতে হবে, শেষের দিকে কঠিন প্রশ্নের উত্তর করার চেষ্টা করতে হবে। মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে, নিজেকে সুস্থ রাখো।