ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে না পড়লে কী পড়বেন? প্রতীকী চিত্র।
সদ্য প্রকাশিত হয়েছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন এবং পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফল। পরীক্ষা দিয়েছেন বহু ছাত্র-ছাত্রী। প্রতেক্যেই ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন বুনে পরীক্ষার জন্য তৈরিও হয়েছিলেন আটঘাট বেঁধে। কিন্তু, আশানরূপ ফল মিলল না! কী করা যায়? তা হলে কি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া আর সম্ভব নয়? না কি অন্য কোনও বিষয় নিয়ে এগনো ভাল। কিন্তু তা হলে কোন বিষয়? এই নিয়ে চিন্তা থেকে যায় অনেক পরীক্ষার্থীরই।
প্রথমেই বোঝা প্রয়োজন, জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়ে কী করা যায়। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হওয়া যায়। ইঞ্জিনিয়ার ছাড়াও বিভিন্ন টেকনিক্যাল স্কিল সংক্রান্ত বিষয়ও এখন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অভ্যন্তরে রাখা হয়েছে। যেমন, বায়ো ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়ো টেকনোলজির মতন বিষয়গুলি। এবার আসা যাক মূল বিষয়ে। কোনও পড়ুয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং-এ অনেক পরে র্যাঙ্ক এসেছে। তাই মন মতন বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ মেলেনি। সে ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর টেকনিক্যাল স্কিল সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়েও এগোনও যেতে পারে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিরাশ হওয়ার প্রশ্ন তখনই আসে, যখন হয় মনের মতন চাকরি পাওয়া যায় না, আবার কেউ হয়তো যে বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছেন সেই সংক্রান্ত চাকরিই পেলেন না। তাই এ ক্ষেত্রে একটি বিষয় নজর দেওয়া প্রয়োজন, ইঞ্জিনিয়ারিং-এ সুযোগ না পেলে কী কী দিক খোলা থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে দেখতে হবে বর্তমান বাজারে কী কী চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর সঙ্গে প্রয়োজন একজন পড়ুয়ার বোধশক্তি। বর্তমানে এমবিএ, ম্যানেজমেন্ট, আইটি, মিডিয়া সায়েন্স-সহ বিভিন্ন টেকনোলজিক্যাল দিকে এগোনো যেতে পারে।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, ‘রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’। কারণ এই সময় প্রয়োজন ‘বেসিক সায়েন্স’-এর উপর বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া। দেশ জুড়ে প্রচুর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বা গবেষণা কেন্দ্রে ফেলোশিপ, রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট, রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট নেওয়া হচ্ছে। সেই সব জায়গায় ইঞ্জিনিয়ারের পাশাপাশি বেশিরভাগ সময়ই বিজ্ঞান (রসায়ন, জীববিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা, গণিত-সহ আরও) বিষয় নিয়ে যাঁরা পড়াশোনা করেছেন তাঁরা আবেদন করতে পারছেন। ইন্ট্রা ডিসিপ্লিনারি রিসার্চ-এর ক্ষেত্র বাড়ছে। সেখানেও শুধু ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন হয় তেমনটা নয়, সে ক্ষেত্রেও বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে এগোনো শিক্ষার্থীদের কাজ শেখার বা কাজ করার সুযোগ থাকে।
এবার আসা যাক, আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে। কোনও পড়ুয়ার জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার র্যাঙ্ক ভাল হল না। সেই কারণে মন মতন কলেজে ভর্তিও হতে পারল না। এখানেই কিন্তু শেষ নয়। সেই শিক্ষার্থীর কাছে সুযোগ রয়েছে পরে ভাল কলেজে পড়ার। গ্র্যাজুয়েশন পর্যায়ে ভাল ভাবে পড়ে গেট (গ্র্যাজুয়েট অ্যাপ্টিটিউট টেস্ট)-এ বসা যেতে পারে। সেখানে ভাল ফল করলেও কিন্তু ভাল কলেজে পড়ার সুযোগ থাকে।
অতএব কোনও কিছুর জন্যই নিরাশ হওয়ার কিছু থাকে না। শিক্ষার্থীর নিজস্ব প্রতিভা এবং ইচ্ছে খুঁজে বার করা সব থেকে প্রয়োজন। ভবিষ্যতে পেশার কোন দিকগুলি খোলা রয়েছে সেগুলি ভাল ভাবে পর্যালোচনা করেই এগোনো ভাল।
পরামর্শ দিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন প্রধান এবং অধ্যাপক অমিতাভ গুপ্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy