মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ শিক্ষক নিয়োগ। তার প্রভাব এ বার বিএড কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রেও। পড়ুয়াদের মধ্যে কমছে বিএড পড়ার আগ্রহ!
২০২৩-’২৫ শিক্ষাবর্ষের তুলনায় ২০২৪-’২৬ শিক্ষাবর্ষে অর্থাৎ চলতি শিক্ষাবর্ষে রাজ্যের বিএড কলেজগুলিতে এক ধাক্কায় অনেকটাই কমল বিএড পড়ুয়ার সংখ্যা। রাজ্যে বিএড কলেজের সংখ্যা ৬২৩। তার মধ্যে সরকারি কলেজ ২৩টি। এ বার সেখানেই দেখা যাচ্ছে, পড়ুয়া ভর্তির সংখ্যা কমল প্রায় ৭ হাজার। গত বছর কলেজগুলিতে পড়ুয়া ভর্তি হয়েছিল ৯৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন:
বর্তমানে রাজ্যে বিএড কলেজগুলিতে ভর্তির আসনসংখ্যা ৫৫, ১৫০। সেখানে নাম নথিভুক্ত করেছে ৪৮,১৫০ জন পড়ুয়া। অর্থাৎ পড়ুয়া সংখ্যা কমেছে ৬,৬৪০। যা গত বারের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ কম। এঁদের মধ্যে অনেকেই বিএড পড়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করেও শেষমেশ কোর্সে ভর্তি হননি।
যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি বা জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে ইন্টিগ্রেটেড টিচার এডুকেশন প্রোগ্রাম (আইটিইপি)-র উপর ঝোঁক বেড়েছে পড়ুয়াদের। তার ফলে তাঁরা কিছুটা হলেও আগ্রহ হারাচ্ছে দু’বছরের প্রচলিত বিএড কোর্সে। অন্যদিকে, বাবাসাহেব অম্বেডকর এডুকেশন ইউনিভার্সিটির তরফে ১৫টি কলেজকে নির্ধারিত নিয়ম না মানার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এই দুইয়ের প্রভাবেই পড়ুয়া সংখ্যা কমেছে এ বছর।
প্রসঙ্গত, বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ বেসরকারি কলেজগুলি ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই)-র নির্দেশিকা না মানায় অনুমোদন বাতিলের পথে হেঁটেছিলেন কর্তৃপক্ষ। এ বছরও একই ভাবে বেসরকারি কলেজ নিয়ম না মানায় তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছিল।