এখনও চিকিৎসার অভাবে রোগীর মৃত্যুর খবর কানে আসে মাঝেমধ্যেই। সেই সমস্যাকে মাথায় রেখে দেশে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলে সরকারি তরফে আগেই জানানো হয়েছিল। তবে এখনও ঘাটতি রয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের। আর তাই ডাক্তারির স্নাতকোত্তর (পোস্টগ্র্যাজুয়েশন)-এর আসনসংখ্যা বাড়িয়ে স্নাতক স্তর (আন্ডারগ্র্যাজুয়েশন)-এর সমান করা হবে। সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, শুক্রবার সরকারি তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।
সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার তিন বছরের মধ্যেই স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের আসনসংখ্যা সমান করার প্রচেষ্টা চালাবে। এর ফলে যাতে পাঠক্রমের মান ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকেও নজর রাখা হবে। তবে কী ভাবে এই ভাবনা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হবে? সরকারি আধিকারিকরা সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, বেসরকারি এবং জেলা হাসপাতালে ডিপ্লোম্যাট অফ ন্যাশনাল বোর্ড (ডিএনবি) কোর্স চালুর মাধ্যমেই দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০১৪ থেকে দেশে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা বেড়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতি প্রবীণ পাওয়ার রাজ্যসভায় জানান, ২০১৪ সালে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা ছিল ৩৮৭, যা এখন বেড়ে হয়েছে ৬৫৪। অর্থাৎ প্রায় ৬৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে দেশ জুড়ে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা। এমবিবিএস-এর আসনসংখ্যা ৫১,৩৪৮ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৯,৭৬৩। এ ক্ষেত্রেও ৯৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে আসনসংখ্যা। একই ভাবে স্নাতকোত্তরের আসনসংখ্যাও ৩১,১৮৫ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৪,৫৫৯টি। অর্থাৎ ১০৭ শতাংশ আসনসংখ্যা বেড়েছে এ ক্ষেত্রে।