মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৬৭ শতাংশ। প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে,গত8 বছরে দেশজুড়ে ২৬১টি মেডিক্যাল কলেজ গড়ে তোলা হয়েছে। এর ফলে দেশে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
'গভর্নেন্স রিফর্মস ইন মেডিক্যাল এডুকেশন' শীর্ষক এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে দেশে সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা যথাক্রমে ৯৬ শতাংশ ও ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, এমবিবিএস-এ আসনসংখ্যা ৮৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৯৬,০৭৭ হয়েছে এবং মেডিক্যালের স্নাতকোত্তরের আসনসংখ্যা ১০৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে মোট ৬৩,৮৪২-এ দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া, ষোলোটি রাজ্যের আটান্নটি কলেজে এমবিবিএস-এ ৩৮৭৭ টি আসনসংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সম্মতি দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতেই এমবিবিএস-এ দশ হাজার আসন তৈরি করতে চায়। এ ছাড়াও, একুশটি রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বাহাত্তরটি মেডিক্যাল কলেজে স্নাতকোত্তরে প্রথম পর্যায়েই ৪০৫৮টি আসন বাড়ানোর ক্ষেত্রে সম্মতি জানানো হয়েছে। এর দ্বিতীয় পর্যায়ে সাতচল্লিশটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে আরও ২৯৭৫টি আসন বাড়ানো হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনার অধীনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক দেশজুড়ে বাইশটি নতুন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস) গড়ে তুলেছে এবং পঁচাত্তরটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজকে উন্নত করার পরিকল্পনাও নিয়েছে। নতুন এমস কলেজগুলির মধ্যে উনিশটি কলেজেই এমবিবিএস-এর ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে ও সেখানে আরও ২০৩৭টি আসন স্নাতকস্তরে যোগ করা হয়েছে।
রিপোর্টটিতে আরও জানানো হয়েছে যে, ২০১৪ সালে দেশে নতুন মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে অর্থসাহায্যের জন্য একটি প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের অধীনে ১৫৭টি কলেজকে অনুদান দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে তিরানব্বইটি কলেজ ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে এবং যাটটি কলেজ আগামী দু'বছরে চালু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)-ও নিয়মকানুনের নানা সংশোধন ও শিথিলকরণের মাধ্যমে স্নাতকোত্তরে আসনসংখ্যা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ঘাটতি মেটাতে ন্যাশনাল বোর্ড অফ এগ্জামিনেশনস ইন মেডিক্যাল সায়েন্সেস ৮টি বিষয়ে দু'বছরের পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা চালু করেছে। এর ফলে প্রতি বছর দু’হাজার আসনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই বিষয়গুলি এমন ভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে যাতে আনুষঙ্গিক শুশ্রূষার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের অভাব পূরণ করা সম্ভব হয়। চিকিৎসার সঙ্গে সংযুক্ত এই আনুষঙ্গিক শুশ্রূষার ক্ষেত্রগুলি হল— অ্যানাস্থেসিওলজি, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা, শিশুরোগ, ইএনটি, চক্ষুরোগ, পারিবারিক চিকিৎসা, টিউবারকিউলোসিস, বুকের অসুখ ও রেডিয়োডায়াগনোসিস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy