বছর ঘুরলেই বিহারে নির্বাচন। তার আগে বিহারের রাজনীতিতে চর্চা শাহরুখ খান ও অভিষেক বচ্চনকে নিয়ে। অভিনেতারা নিজেরা নির্বাচনে নামছেন না ঠিকই, কিন্তু ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর নিজের তুলনা টেনেছেন শাহরুখের সঙ্গে। আর অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে তেজস্বী যাদবের। প্রশান্তের কথায়, শাহরুখের বাবা আমজনতা ছিলেন, তাই শাহরুখকে সিনেমাজগতে লড়াই করে নিজের জায়গা প্রতিষ্ঠিত করতে হয়েছে। ঠিক যেমন তিনি নিজের যোগ্যতায় রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে স্থান করে নিয়েছেন। অন্য দিকে, অভিষেক হলেন অমিতাভ বচ্চনের ছেলে। ঠিক যে ভাবে তেজস্বী যাদব হলেন জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিত মুখ লালুপ্রসাদ যাদবের সন্তান। প্রশান্তের মতে, বাবার কারণে লড়াই না-করেই রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন তেজস্বী। এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি তেজস্বীকে নবম শ্রেণি ফেল বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি প্রশান্ত। নিন্দুকেরা বলছেন, বিহারে ভোটের আগে প্রধান বিরোধী মুখ হয়ে উঠতেই ধারাবাহিক ভাবে তেজস্বীর উদ্দেশে আক্রমণ শাণাচ্ছেন প্রশান্ত।
ইয়েচুরির শেষ বক্তৃতা
সীতারাম ইয়েচুরির সংসদে সেরা বক্তৃতা কোনটা? দলমত নির্বিশেষে সকলেই একমত, রাজ্যসভা থেকে অবসরের দিন তাঁর শেষ কথাই সকলের মনে থেকে যাবে। ইয়েচুরি সে দিন বলেছিলেন, “আমি কখনও যা বলিনি, তা শেষে বলছি। আমার জন্ম তেলুগুভাষী ব্রাহ্মণ পরিবারে। স্কুলজীবন শুরু হায়দরাবাদের নিজ়ামদের ইসলামিক স্কুলে। আমারস্ত্রী-র বাবা সুফি চিস্তি পরিবারের সন্তান।মা রাজপুত, যাঁদের আদি বাসস্থান মহীশূরে। আমাদের ছেলের পরিচয় কী হবে? ব্রাহ্মণ, হিন্দু না মুসলিম?” তিনি বলেছিলেন, “আমার ছেলের পরিচয় একমাত্র ভারতীয় ছাড়া কিছু হতে পারে না। আর আমি একা নই। আমার মতো লক্ষ লক্ষ মানুষ ভারতে আছেন। এটাই ভারতের সংস্কৃতি।”
চন্দ্রচূড়ের আবৃত্তি
দু’জনে একই সঙ্গে দিল্লির সেন্ট স্টিফেন’স কলেজে পড়াশোনা করেছেন। এক জনের বিষয় ইতিহাস। অন্য জনের অর্থনীতি। পরে দু’জনেই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন। প্রথম জন বিচারপতি হিমা কোহলি। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট থেকে অবসর নিলেন তিনি। অবসরের দিন তাঁর সংবর্ধনায় কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন তাঁর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী বন্ধু প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। বিদায় সংবর্ধনায় চন্দ্রচূড় বললেন, “গুঞ্জতে রহতে হ্যায় আলফাজ় মেরে কানো মে, তু তো আরাম সে কেহ দেতা হ্যায় আল্লা হাফিজ়!”
পাত্রী পেলেন রাহুল?
গুজব যে, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু এমন গুজব কী ভাবে রটল, কেনই বা রটানো হল, সেটাই ভেবে পাচ্ছেন না কেউ। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে না কি প্রণীতি শিন্দের বিয়ে হতে চলেছে বলে গত এক সপ্তাহ ধরে দিল্লিতে জোর জল্পনা। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্দের কন্যা প্রণীতি। মহারাষ্ট্র থেকে তিন বার বিধায়ক ছিলেন। এ বার সোলাপুর থেকে জিতে লোকসভায় সাংসদ হয়েছেন। এর আগে গান্ধী পরিবারের গড় রায়বরেলীর কংগ্রেসের বিধায়ক অদিতি সিংহের সঙ্গে রাহুলের বিয়ের জল্পনা ছড়িয়েছিল। প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর ঘনিষ্ঠ অদিতি রায়বরেলীর কংগ্রেস নেতা অখিলেশ প্রতাপ সিংহের কন্যা। বিয়ের জল্পনা থামাতে অদিতি বলেছিলেন, রাহুল তাঁর ‘রাখি ভাই’। পরে অবশ্য অদিতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। গান্ধী পরিবারের বিরোধী হয়ে উঠেছেন। ৪৩ বছরের প্রণীতি রাহুলকে ‘বস’ বলেই সম্বোধন করেন। ভারত জোড়ো যাত্রায় মহারাষ্ট্রে তাঁকে রাহুলের সঙ্গে পা মিলিয়ে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল। হঠাৎ বিয়ের গুজব কোথা থেকে রটল, কেউই বুঝতে পারছেন না। রাহুল গান্ধী অবশ্য কোনও দিন ‘আমি বিয়ে করব না’ বলে দাবি করেননি। এই প্রশ্ন উঠলেই তাঁর জবাব হল, “যখন হওয়ার, তখন হবে।”
শীর্ষ দম্পতি
স্বামী দায়িত্ব থেকে অবসর নিলেন। স্ত্রী সেই দায়িত্ব বুঝে নিলেন। গোটা দেশেরই আমলাতন্ত্রেই বিরল এই ঘটনা সম্প্রতি ঘটল কেরলে। কেরলের মুখ্যসচিব পদ থেকে অবসর নিলেন বেণু বাসুদেবন। সেই পদে নিযুক্ত হলেন তাঁর স্ত্রী সারদা মুরলীধরন। অবসরের দিন বেণু মুখ্যসচিবের চেয়ার স্ত্রীকে ছেড়ে দিয়ে তাঁর হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন। দু’জনেই ১৯৯০ ব্যাচের আইএএস অফিসার। বেণু স্ত্রীর চেয়ে কয়েক মাসের বড় বলে আগে মুখ্যসচিব হয়েছিলেন।
,
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy