দিল্লিতে জমে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আম মেলা।
হিমসাগর, ল্যাংড়া, ফজলি প্রতি বছরই দিল্লি মাতায়। তার সঙ্গে এ বার যোগ দিয়েছে গোপালভোগ, আম্রপালি, মিসরিকান্ত আমও। দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘আম মেলা’ গত বছরের রেকর্ড ভাঙতে চলেছে। দিল্লির জনপথে হ্যান্ডলুম হাটে আম-ভক্ত আমজনতা হিমসাগরের খোঁজে এসে মিসরিকান্তের প্রেমে পড়ে যাচ্ছেন। গাড়ি বা অটো ভর্তি করে আম নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। গত বছর ‘আম মেলা’-য় রাজ্যের নানা জেলার আম, আমের তৈরি নানা রকম খাবার ও হস্তশিল্প মিলিয়ে ৩০ দিনে ১ কোটি টাকার বিক্রি হয়েছিল। এ বার মাত্র ১৪ দিনের মেলা শেষ হওয়ার আগেই ৭০ লক্ষ টাকার বেশি বিক্রির রেকর্ড ছোঁয়া হয়ে গিয়েছে। দিল্লিতে রাজ্যের ডেপুটি ডিরেক্টর ( ইনফর্মেশন) শাশ্বত দাঁ জানাচ্ছেন, এর মধ্যে চার ভাগের এক ভাগ আয় এসেছে আম বিক্রি থেকে। প্রথম ১০ দিনেই প্রায় ২৭ হাজার কিলোগ্রাম আম বিক্রি হয়েছে।
আম-সৌজন্য
রাজনীতিতে রেষারেষি থাকতেই পারে। তা বলে আম-সৌজন্যে বাধা পড়ে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীতীশ কুমার বরাবরই এই নীতি মেনে চলেন। কিন্তু এ বার মমতা প্রধানমন্ত্রীর জন্য আমের ঝুড়ি পাঠালেও নীতীশ এখনও সে পথে হাঁটেননি। আমের মরসুম এলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যের সেরা আমের ঝুড়ি পৌঁছে যায়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মোদী-দিদির এই আম-সৌজন্য নিয়ে রাজ্যের বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। মমতার মতো নীতীশও প্রধানমন্ত্রী-সহ বিজেপি নেতাদের বিহারের বিখ্যাত জর্দালু আম পাঠাতেন। কিন্তু এ বছর দিল্লিতে এখনও জর্দালু আম পৌঁছয়নি। পটনায় বিরোধী শিবিরের বৈঠকের আগে নীতীশ বোধ হয় চাইছেন না যে, আমের খোসায় তাঁর পা পিছলে যাক।
বিশ্বসাথে যোগে
আন্তর্জাতিক যোগ দিবস এ বার সর্বার্থেই ‘আন্তর্জাতিক’ চেহারা পেতে চলেছে। জুনের একুশ তারিখ এই দিবস, প্রধানমন্ত্রী তখন আমেরিকায় থাকবেন। নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতর থেকে এই অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেবেন তিনি নিজে। তাঁর সঙ্গে থাকবেন বিশ্বের অন্য কয়েক জন নেতাও। অদূরেই টাইমস স্কোয়্যারে গোটা অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠান শেষ করেই নিউ ইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন ডিসি-র উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক রয়েছে তাঁর।
যোগ-বিরতি
চা বা জলখাবারের ‘ব্রেক’ নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের জন্য কর্মিবর্গ মন্ত্রক কাজের মাঝে ‘ওয়াই ব্রেক’ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। কী সেটা? তা হল, অফিসের চেয়ারে বসেই যোগব্যায়াম সেরে ফেলা। আয়ুষ মন্ত্রকের মতে, এতে কাজের চাপ হালকা লাগবে। মেজাজ ফুরফুরে হয়ে যাবে। যোগব্যায়াম করার সময় কোথায়, তা ভাবারও দরকার নেই। সরকারি দফতরে রীতিমতো নির্দেশিকা জারি করে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, আয়ুষ মন্ত্রকের পোর্টাল বা ইউটিউবে দেখে নিতে হবে, কী ভাবে চেয়ারেই বসে ব্যায়াম করা যায়। ‘ওয়াই ব্রেক’ না নিলে শাস্তি হবে কি না, তা অবশ্য জানানো হয়নি।
বিয়েবাড়ির মধ্যমণি
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরের কন্যা নিবেদিতার বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গোয়ালিয়রে গিয়েছিলেন রাজনাথ সিংহ থেকে জে পি নড্ডার মতো বিজেপির শীর্ষ নেতা-মন্ত্রীরা। কিন্তু বিয়ের আসরে দেখা গেল, তোমরের জামাই নীরজ সিংহের বাবা অনুপ সিংহ কংগ্রেসের নেতা ছিলেন। জমিদার পরিবারের সন্তান নীরজ অবশ্য বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। গ্রামপ্রধানও ছিলেন। ইকো-পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত নীরজ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানেরও ঘনিষ্ঠ। শিবরাজ, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো মধ্যপ্রদেশের নেতারা হাজির থাকলেও বিয়ের আসরে অতিথিরা যোগী আদিত্যনাথকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি মাতামাতি করলেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যখন বর-বধূকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন, তখন প্রায় জনসভার মতো ‘যোগী, যোগী’ জয়ধ্বনি উঠল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy