স্কটিশ স্বাধীনতা প্রসঙ্গে গণভোটের সম্ভাবনার মুখোমুখি বরিস জনসনের সরকার। স্কটদের মন ভেজাতে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের পরিকল্পনা, রানির ছোট ছেলে প্রিন্স এডওয়ার্ডকে সস্ত্রীক স্থায়ী বসবাসের জন্য এডিনবরাতে পাঠানো হোক। আর্ল ও কাউন্টেস অব ওয়েসেক্স এডওয়ার্ড ও সোফি এখন রানির উইনসর প্রাসাদের থেকে খানিক দূরে সারের ব্যাগশট পার্কে থাকেন। পরিকল্পনা মাফিক, দম্পতি এডিনবরায় রানির সরকারি আবাস হলিরুড প্রাসাদে থাকবেন।
রাজপরিবারের কাজকর্ম বাড়াবেন। তবে যুক্তরাজ্য বাঁচাতে এডওয়ার্ড-সোফির কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ইতিহাস বলছে, উত্তর সীমান্তে এডওয়ার্ড নামের রাজবংশীয়র সুখ্যাতি নেই। স্কটদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে ভালবাসতেন বলে প্রথম এডওয়ার্ডকে ‘হ্যামার অব দ্য স্কটস’ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। ব্যানকবার্নের যুদ্ধে তাঁর ছেলে দ্বিতীয় এডওয়ার্ডকে পরাস্ত করেছিলেন স্বয়ং রবার্ট ব্রুস।
গরমের সময় রানি হলিরুড প্রাসাদে পার্টি আয়োজন করেন। ১২ সপ্তাহ কাটিয়ে যান বালমোরাল এস্টেটে। পাশের পাহাড়ে ঘোড়সওয়ারি, শিকার খেলে রাজপরিবার। ২০১৪-র গণভোটের চার দিন আগে রানি এক শুভানুধ্যায়ীকে বলেছিলেন, তাঁর আশা স্কটরা ‘ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব সাবধানে ভাববেন।’ এই মন্তব্যেই নাকি প্লাবন থেমেছিল। স্কটরা ‘থাকতে’ রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু এ বারের মতসমীক্ষায়, স্কট স্বাধীনতার পক্ষে হাওয়া জোরালো। তরীটি বাঁচাতে বরিস জনসনের এডওয়ার্ডের থেকে পোক্ত হাতিয়ার দরকার।
সিনেমা হলেও সত্যি
গোয়েনেথ প্যালট্রো, কেট উইন্সলেট, ম্যাট ডেমন অভিনীত ২০১১-র হলিউডি ফিল্ম কন্টাজিয়ন দেখিয়েছে, ভাইরাস পৃথিবীতে ছড়িয়ে গেলে কী হতে পারে। অতিমারি শুরুর সময় ছবিটি দেখে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানককের মনে হয়, প্রতিষেধক আবিষ্কারের পরে তা পাওয়ার চেষ্টায় দেশগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে। প্রতিটি দেশে আগে কারা প্রতিষেধক পাবেন, তা নিয়েও গোল বাধবে। প্রথম পর্যায়েই ব্রিটেনকে যথেষ্ট প্রতিষেধক জোগাড় করতে হবে। অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল পর্বেই প্রথম দেশ হিসেবে ব্রিটেন ১০ কোটি ডোজ়ের বায়না দিয়েছিল। ফাইজ়ার ভ্যাকসিনও প্রথম বলে রেখেছিল তারাই। হ্যানকক বলেছেন, “ভ্যাকসিনের অগ্রাধিকার বিষয়ে আগেভাগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মানুষকে জানিয়ে দিয়েছিলাম।” অগস্টে টিকাকরণের ন’টি অগ্রাধিকার সারণি সাজিয়ে ঠিক হয়েছিল, সর্বাগ্রে টিকা পাবেন আশি-ঊর্ধ্বরা। কন্টাজিয়ন-এর পরামর্শদাতা জানিয়েছেন, মহামারি ঠেকাতেই ফিল্মটি তৈরি। ন’বছর পরে যখন সত্যিই অতিমারি এল, সিনেমাটি ‘গাইড’-এর ভূমিকা নিল।
হট্টমেলার মাঠে
উত্তর ইংল্যান্ডের প্যারিশ-এর (আঞ্চলিক প্রশাসন) জনা কুড়ি সদস্যের জ়ুম মিটিং ভাইরাল। বয়স্ক উপদেষ্টারা চিলচিৎকার জুড়েছেন, মোবাইলে বকরবকর করছেন, তাঁদের মিটিং থেকে বার করেও দেওয়া হচ্ছে। কাণ্ডকারখানার মধ্যমণি জ্যাকি উইভার, কড়া হাতে চুপচাপ মিটিং পরিচালনা করছেন। এক ভদ্রলোক চেঁচাচ্ছেন, “তোমার কোনও ক্ষমতা নেই উইভার।” আর এক জন রগচটা লোক গাঁকগাঁক করে উঠতেই উইভার তাঁকে শান্ত ভাবে মিটিং থেকে বাদ দিয়ে দিলেন! প্রকাশমাত্র ভিডিয়োটি দেখেছেন ৪০ লাখের বেশি লোক। উইভারকে টিভি, রেডিয়োয় সাক্ষাৎকার দিতে হয়েছে। জ়ুম মিটিংয়ের প্রতিবন্ধকতা আর খিটখিটে বৃদ্ধে ভরা ইংল্যান্ডের গ্রামজীবনের আদর্শ ছবি ভিডিয়োটিতে। সেটি ইউটিউবে পোস্ট করেছিল রাজনীতির ১৭ বছর বয়সি এশীয় ছাত্র শান আলি। সে লকডাউনে প্যারিশ মিটিংয়ের ভিডিয়ো দেখত। রাস্তা সারাই, সাফাই ইত্যাদি খুচরো বিষয়ে মিটিংগুলো, কিন্তু তাতে মানুষের খুব খুঁত ধরা চলে। দারুণ মজা পেত আলি। এখন সে নিজেও ভাইরাল।
ক্যাপ্টেন টমের মূর্তি
মূর্তি নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার মরসুমেও তাঁর মূর্তি বসানো নিয়ে কারও আপত্তি নেই। গত সপ্তাহে করোনায় মারা গিয়েছেন ক্যাপ্টেন স্যর টম মুর। শততম জন্মদিনের আগে স্বাস্থ্যসেবায় ৩৩ মিলিয়ন পাউন্ড তুলে দেশের নায়ক হয়েছিলেন তিনি। ইয়র্কশায়ারের এক ভাস্কর জানিয়েছেন, তাঁর গুদামে ক্যাপ্টেনের ব্রোঞ্জ মূর্তি প্রস্তুত রয়েছে। মূর্তিটিতে প্রাক্তন সেনানী মেডেল পরে, জিমার ফ্রেম ধরে হাঁটছেন। যে ভাবে তাঁকে চিনত সারা বিশ্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy