করোনা আবহে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের ১২৮-তম জন্মদিনটি নীরবে চলে গেল। পরিষদ ভবন এখন তালাবন্দি। ৮ শ্রাবণ, ১৩০০ সালে (২৩ জুলাই, ১৮৯৩) শোভাবাজার রাজবাড়ির রাজা বিনয়কৃষ্ণ দেবের বাসভবনে শুরু হয় পরিষদের পথ চলা। জন্মলগ্নে উদ্যোক্তারা নাম দিয়েছিলেন ‘বেঙ্গল অ্যাকাডেমি অব লিটারেচার’। এই ইংরেজি নাম সম্পর্কে বঙ্গসাহিত্য অনুরাগীরা আপত্তি করেন। নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ’। রাজবাড়ি থেকে ভাড়াবাড়ি এবং তার পর নিজস্ব ভবনে উঠে আসে পরিষদ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী, প্রফুল্লচন্দ্র রায়, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক কালের প্রায় সব সাহিত্যিক, বৈজ্ঞানিক, ইতিহাসবিদ কোনও না কোনও সময় এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে যুক্ত ছিলেন।
চর্যাপদ ও শ্রীকৃষ্ণকীর্তন-এর মতো প্রাচীন পুঁথি প্রকাশের জন্য পরিষদ পরিচিত। কিন্তু বঙ্গসমাজের কত কর্মকাণ্ড যে ঘটেছে একে ঘিরে! কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা প্রচলনের উদ্যোগ, পরিভাষা প্রণয়ন, বাংলার জেলায় জেলায় সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন, বাংলা ভাষায় অভিধান ও কোষগ্রন্থ রচনা, বাংলার ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক উপাদান সংগ্রহ, লোককথা, লোকগান এবং বিভিন্ন স্থানের আঞ্চলিক ভাষা সংগ্রহ, প্রভৃতি নানা উদ্যোগ করেছিল পরিষদ। স্বাধীন ভারতে বঙ্গসাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা, প্রসার এবং সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কিন্তু বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের কর্মকাণ্ড অতুলনীয়।
অমরনাথ করণ
কলকাতা-৬০
মার্টিন কুপার
অভিরূপ সরকারের ‘বিপ্লবের পঁচিশ বছর’ (৩১-৭) লেখাটির সঙ্গে কিছু কথা সংযোজন করতে চাই। মোবাইল বা সেলফোনের অন্যতম স্রষ্টা মার্টিন কুপার। তিনি ১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল, নিউ ইয়র্কের রাস্তায় তাঁর তৈরি সেলফোন দেখানোর আগে ফোনটি পরীক্ষা করার জন্য জোয়েল অ্যাঞ্জেলকে সেলফোনে তাঁর সাফল্যের কথা জানান। দ্বিতীয় জন ছিলেন তাঁর কোম্পানি ‘মটোরোলা’-র প্রতিপক্ষ ‘বেল ল্যাবরেটরিজ়’-এর ইঞ্জিনিয়ার। সেলফোনে পৃথিবীর সেই প্রথম কথোপকথন। সে সম্পর্কে কুপার পরে জানান, ‘‘ঠিক কী কী কথা বলেছিলাম মনে নেই। শুধু মনে আছে অন্য দিকে এক অস্বস্তিকর নীরবতা।’’ সুতরাং, আর তিন বছর পরে মোবাইল ৫০ বছরে পা দেবে।
মার্টিন কুপার চাইতেন সেলফোন হবে মানুষের ব্যক্তিগত ফোন, যাতে একটা নম্বর ডায়াল করে কোনও বিশেষ জায়গা নয়, শুধু এক জন বিশেষ ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হবে। বলা হয়, কুপারের সেলুলার ফোনের ধারণা এসেছে টেলিভিশনের সিরিয়াল স্টার ট্রেক থেকে, যেখানে জেমস টি ক্লার্ক তাঁর ‘কমিউনিকেটর’-কে ইচ্ছেমতো ব্যবহার করেছেন। অবশ্য কুপার বলেন, তাঁর আসল প্রেরণা ছিল কমিক স্ট্রিপ চরিত্র ডিক ট্রেসি-র কব্জিতে লাগানো রেডিয়ো।
মার্টিন কুপারের নাম সাধারণ মানুষের অজানা। যদিও বেতার প্রযুক্তি নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের কাছে তিনি সুপরিচিত। কুপার ভেবেছিলেন, এক দিন সেলফোন এত ছোট হবে যে, তা কানে ঝুলিয়ে রাখা যাবে, এমনকি চামড়ার নীচে রাখাও সম্ভব হবে। অবশ্য কয়েক বছর আগে ফোনে কথা বলার সময়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি এখন ল্যান্ডলাইনে কথা বলছি। বেতার পরিষেবায় আমি বিরক্ত, কেন না আমি জানি সেই প্রযুক্তির দৌড় কতটা।’’ বেতার দূরসংযোগ শিল্পে এগারোটি পেটেন্টের অধিকারী, বেতার বর্ণালি পরিচালনায় পথিকৃৎ, ইলিনয় ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত (২০০৪) উদ্ভাবকের মুখে এমন কথা!
মনোজ ঘোষ
কলকাতা-৬১
উপান্ন-র অর্থ
‘উপান্ন’ শীর্ষক চিঠি (২৯-৭) প্রসঙ্গে জানাই, হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বঙ্গীয় শব্দকোষ বা রাজশেখর বসুর চলন্তিকা খুঁজে ‘উপান্ন’ শব্দটি মিলবে না ঠিকই। তবে হরিচরণে ‘উপ’ উপসর্গটির অর্থ দেওয়া আছে ‘সামীপ্য, সান্নিধ্য’। আর রাজশেখরে ‘সাদৃশ্য’। আধুনিক বাংলা প্রয়োগ অভিধানে সুভাষ ভট্টাচার্য লিখছেন ‘‘বাংলায় উপ উপসর্গটি বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়। উপকণ্ঠ, উপকূল প্রভৃতি শব্দে অর্থ নিকটস্থ বা সমীপবর্তী। উপদ্বীপ, উপমহাদেশ প্রভৃতি শব্দে উপ প্রায় বা ঊন অর্থে ব্যবহৃত। প্রায় দ্বীপ, প্রায় মহাদেশ, পুরোপুরি নয়।’’
নবান্নের পাশে উপান্ন। অর্থাৎ নবান্নের কাছেই। মূল ‘অন্ন’ শব্দের সঙ্গে ‘নব’ যোগ করে নবান্ন আর ‘উপ’ যুক্ত হয়ে উপান্ন। প্রথমটির অর্থ নতুন অন্ন আর দ্বিতীয়টির, অন্ন সামীপ্য বা অন্ন সদৃশ। প্রথমটির ক্ষেত্র এবং ক্ষমতা দ্বিতীয়টির তুলনায় অনেক বেশি এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ।
রঘুনাথ প্রামাণিক
কালীনগর, হাওড়া
বিপজ্জনক
অভিরূপ সরকারের নিবন্ধটির প্রসঙ্গে জানাই, শহরে বহু লোকের কাছে একাধিক সিমকার্ড আছে, যদিও সকলে সব ক’টি সিমকার্ড রোজ ব্যবহার করেন না। বিশেষত স্বল্প রোজগারের যুবক-যুবতীদের মধ্যে অফারযুক্ত প্রিপেড কানেকশন নেওয়ার একটা প্রবণতা আছে। এই ক্ষেত্রে সিমকার্ডগুলো অফার শেষ হলেই সরিয়ে রাখা হয়, বা ফেলে দেওয়া হয়। প্রিপেড কানেকশন দেওয়ার ক্ষেত্রে আলগা নিয়মকানুন অপরাধ করার সুযোগ বাড়িয়ে দেয়, যা দেশের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক। প্রিপেড কানেকশন স্থায়ী ভাবে বন্ধ করে দেওয়া যায় কি না, সেই বিষয়ে ভাবতে হবে।
সৈকত মাধব গঙ্গোপাধ্যায়
কলকাতা-৪২
শাবাশ মাজুলি
‘বানভাসিদের চাঁদায় খাবার পেল ক্ষুধার্ত হাতিরা’ (৩০-৭) শীর্ষক প্রতিবেদনটি পড়ে মুগ্ধ হলাম। মাজুলির ভয়াবহ বন্যায় শাবক-সহ শতাধিক হাতির একটি দল ভাসতে ভাসতে শালমারার কাছে এক বালিচরে এসে ওঠে। শালমারার বন্যা-বিপর্যস্ত গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে হাতিদের কাছে নৌকাভর্তি খাবার দফায় দফায় পৌঁছে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত অসমে শিক্ষার হার হয়তো অন্য অনেক রাজ্যের তুলনায় কম। কিন্তু সেখানকার মানুষের সামাজিক চেতনা যে অনেক উন্নত, প্রকৃতি ও পরিবেশের সংরক্ষণে যে তাঁরা সদাজাগ্রত, এটা দেখে সত্যিই ভাল লাগল।
শক্তিশঙ্কর সামন্ত
ধাড়সা, হাওড়া
ভর্তুকি বটে
এক দিন দেখলাম, আমার ব্যাঙ্কের খাতায় ৩ টাকা ৪৫ পয়সা প্রাপ্তি হয়েছে। পরে ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারি, ওটা নাকি গ্যাসের ভর্তুকি বাবদ পাওনা অর্থ। ওই অঙ্কের টাকা নাকি আগেও দু’-এক বার পেয়েছি। গ্যাস সিলিন্ডারের মূল্যবৃদ্ধি আটকাতে সরকার ব্যর্থ হয়ে থাকতে পারে, তা বলে ভর্তুকির নামে এই প্রহসন কেন? এই টাকা গ্রাহককে পাঠাতে তো সরকারের এর বেশি অর্থ ব্যয় হয়ে যায়। কাস্টমার কেয়ার ও এজেন্সিতে ফোন করে সদুত্তর পাইনি।
লক্ষ্মীকান্ত মান্না
কর্নেলগোলা, পশ্চিম মেদিনীপুর
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy