যাঁরা গাড়ি চালান তাঁরা নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন যে, শহর এবং শহরতলির গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলির উপর ট্র্যাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে ট্র্যাফিক ব্যারিকেড রাখার প্রবণতা ক্রমশই বাড়ছে। তারা নিশ্চয়ই সদর্থক চিন্তা করেই এই ব্যবস্থা করছে। তা হলেও গাড়ি চালানোর সময়, বিশেষত সন্ধ্যায় বা একটু রাতে, এই অনুভূতি হয় যে এ ভাবে যত্রতত্র ট্র্যাফিক ব্যারিকেড রাখা বিপজ্জনক। প্রথমত, ওই সময়ে কলকাতা থেকে শহরতলিতে যাওয়ার পথে রাস্তায় আলো ঠিকমতো থাকে না। যেমন, ই এম বাইপাস ধরে রথতলা-কালীতলা হয়ে বারুইপুর যাওয়া বা আসার রাস্তা অনেকটা এ রকম। অনেক জায়গাতেই ল্যাম্প পোস্ট আছে। কিন্তু রাস্তার পাশের গাছগুলির ডালপালা এলোমেলো বেড়ে ওঠার ফলে পোস্টের আলোগুলি তার আড়ালে ঢাকা পড়ে যায়। দ্বিতীয়ত, ট্র্যাফিক ব্যারিকেডগুলিতে লাইট রিফ্লেকটর লাগানো থাকলেও অতি ব্যবহারে বা রোদ-বৃষ্টির কারণে এদের আলো প্রতিফলনের ক্ষমতা বেশ কমে গিয়েছে। ফলে গাড়িগুলি ওই ব্যারিকেডের খুব কাছে না আসা পর্যন্ত রাস্তার উপর তাদের উপস্থিতি বোঝা যায় না। এমতাবস্থায় হঠাৎই ব্রেক কষলে পিছন থেকে ধেয়ে আসা গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
তাই, কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে অনুরোধ, রাস্তার পাশের গাছগুলির ডালপালা ছেঁটে প্রথমে ল্যাম্প পোস্ট দৃষ্টিগোচর করার ব্যবস্থা করা হোক। যে জায়গায় সম্ভব, সেখানে রাস্তায় আর একটু বেশি আলোর বন্দোবস্ত করা হোক। এ ছাড়া ট্র্যাফিক ব্যারিকেডের গায়ে, বিশেষত তাদের চার পাশের সীমানা বরাবর, আরও উন্নত মানের লাইট রিফ্লেকটর লাগানো হোক, যাতে অনেক দূর থেকে তাদের পরিষ্কার ভাবে চিহ্নিত করা যায়। উপরন্তু, যেখানে রোড ডিভাইডার আছে, সেই স্থানগুলিতে অত্যাধুনিক লাইট রিফ্লেকটরের প্রয়োগ দরকার। কারণ, রোড ডিভাইডারে ধাক্কা লেগে বাইক আরোহীদের আহত হওয়ার, এমনকি মৃত্যু হওয়ার উদাহরণও আছে।
অমিত কুমার চৌধুরী, কলকাতা-৭৫
কেন বঞ্চিত
আমি এক জন প্রবীণ বিধবা, দীর্ঘ দিন যাবৎ হৃদ্রোগে ভুগছি। সামান্য পারিবারিক পেনশনে এমনিতে চলে গেলেও অসুখবিসুখে বিপুল খরচের ক্ষেত্রে মেয়ে-জামাইয়ের উপর নির্ভরশীল। গত বছর জুনের শেষে এক বার মিউনিসিপ্যাল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় সেখানকার কর্মীরা আমাকে একটি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করে নেওয়ার উপদেশ দেন। সে দিনই মেয়ে অনলাইনে আমার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য আবেদন করে। পরে স্বাস্থ্যসাথী ওয়েবসাইট থেকে জানা যায় যে, সর্বাধিক ১৩ দিনের মধ্যেই নাকি কার্ড প্রসেসিং হয়ে যায়।
তিন সপ্তাহ পার হয়ে যায়, কিছুই হয় না। এর পর গত বছর জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক, ডিস্ট্রিক্ট কি ম্যানেজার, স্বাস্থ্যসাথী নোডাল অফিসার, ডিস্ট্রিক্ট কোঅর্ডিনেটর, অতিরিক্ত জেলাশাসক, রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব-সহ সকলকে অসংখ্য বার মেয়ের সাহায্যে ইমেল করেছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে উত্তর না পাওয়া গেলেও প্রথম দিকে এক বার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নোডাল এজেন্সি এবং জেলার স্বাস্থ্যসাথী সেল থেকে ইমেল করে আমার আধার নম্বর, ফোন নম্বর, পুরো ঠিকানা, রেশন কার্ড সব চাওয়া হয়। তা ছাড়া, এর কিছু দিন পরে স্বাস্থ্য দফতরের এক জন কর্মী ফোনে নির্দেশ দেন আমার দরখাস্তটি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানোর জন্য। সবই করা হয়। অথচ, এর পর থেকেই সব যেন কেমন চুপচাপ হয়ে যায়। ফলে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে কার্ডের আর একটি আবেদন জমা দিতে হয়। এক বছর দু’মাস পার হয়ে গেল, আমার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড অধরাই রয়েছে, শুধু বয়স ও অসুস্থতা বাড়ছে।
গোটা ঘটনায় কয়েকটা কথা বুঝতে পারছি— এ রাজ্যে কর্তৃপক্ষ বোধ হয় অনলাইন আবেদন পছন্দ করেন না, ইমেল-এ তো নয়ই। এটি যে একটি সরকারি পরিষেবা এবং জনগণের তা সরকারি ভাবে আবেদন করে পাওয়ার অধিকার আছে, সেটা বোধ হয় তাঁদের মেনে নিতে কষ্ট হয়। বরং এখানে তোষামোদে কাজ হয় বেশি। কিন্তু আমি এই বয়সে অসুস্থ শরীরে কোথায় কত বার যাব, কাকেই বা ধরাধরি করব, বলে দিলে ভাল হয়।
শিপ্রা দত্ত, কলকাতা-৮৩
বাস চাই
আরামবাগ থেকে বহু মানুষ সকালের দিকে বনহুগলির কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থোপেডিক হাসপাতালে, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য কলকাতা অভিমুখে রওনা দেন। এই সময়ে আরামবাগ ডিপো থেকে এমন কোনও এসবিএসটিসি বাস নেই যেগুলি সব স্টপে থামে। যেগুলি ছাড়ে সেগুলি সবই ননস্টপ এবং সাঁতরাগাছি দিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়ে ধর্মতলা যায়। যে সব রোগীর বনহুগলি, শ্যামবাজার বা মেডিক্যাল কলেজে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে, তাঁরা খুব অসুবিধায় পড়েন। এই সমস্যা থেকে তাঁদের রেহাই দিতে পরিবহণ মন্ত্রী ও এসবিএসটিসি-র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে বিনীত অনুরোধ, সকালে আরামবাগ এসবিএসটিসি ডিপো থেকে ডানলপ, শ্যামবাজার হয়ে একটি অল-স্টপ বাস অবিলম্বে চালু করা হোক। ।
প্রসেনজিৎ হাজরা, আরামবাগ, হুগলি
টাকা ফেরত
গত জুলাইয়ে একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বোকারো স্টিল সিটি থেকে হাওড়া যাওয়ার টিকিট বুক করি। টিকিটের স্থিতি ছিল ওয়েটিং লিস্টে ১৪ নম্বর। ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল বিকেল চারটের সময়। যাত্রার দিন ট্রেন ছাড়ার ২০ মিনিট আগে পিএনআর স্টেটাস চেক করি এবং দেখা যায় ওয়েটিং লিস্টে আমি ৯ নম্বর স্থানে এসেছি সবে। ফলে টিকিট কনফার্মড হওয়ার আশা ছেড়ে দিই। এমনিতে জানা ছিল যে অ্যাপ-এর মাধ্যমে ওয়েটিং টিকিট নিজে নিজেই বাতিল হয়ে যায়। এবং তিন-চার দিনের মধ্যে অ্যাকাউন্টে টাকা ফেরত আসে। আমি নিশ্চিত ছিলাম যে-হেতু আমার টিকিট কনফার্মড হয়নি, তাই টিকিটের টাকা ফেরত পাব। কিন্তু আমাকে অবাক করে ট্রেন ছাড়ার ঠিক আট মিনিট আগে আমার মোবাইলে মেসেজ আসে যে, টিকিট কনফার্মড হয়ে গেছে। যদি জানতাম যে অত অল্প সময়ে আমার টিকিট কনফার্মড হয়ে যাবে তবে অবশ্যই স্টেশনে পৌঁছে যেতাম। প্রশ্ন হল, এত কম সময়ের মধ্যে টিকিটটি কনফার্মড হল কী ভাবে? এই টিকিটের কারণে আমাকে যে পরিমাণ হয়রান হতে হল তার দায় কে নেবে, আইআরসিটিসি না অ্যাপ? যদি তা না পারে তবে অবিলম্বে টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
গোপাল চন্দ্র টিকাদার,কলকাতা-৬৪
সংস্কারের কাজ
বারাসত ব্লক ১ বিডিও এবং ছোট জাগুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন বামনগাছি এলাকায় অবস্থিত ড্রেনগুলির নিয়মিত সংস্কার হয় না। তাই কয়েক দিন আগের তুমুল বৃষ্টির ফলে অনেক জায়গাতেই জল জমে গিয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে জমে থাকা জলের কারণে অনেকে জলবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, এলাকাবাসীদের দৈনন্দিন জীবনযাপন প্রভাবিত হচ্ছে। এ ছাড়াও বামনগাছি স্টেশন রোডের পুনর্নির্মিত রাস্তার কিছু অংশ বিপজ্জনক ভাবে ভেঙে গিয়ে বেহাল দশায় আছে। তাই অধিবাসীবৃন্দের সুস্থ ও সুষ্ঠু জীবনযাপনের স্বার্থে অবিলম্বে এলাকায় অবস্থিত নিকাশি-নালাগুলি নিয়মিত ভাবে সংস্কার করা হোক। সঙ্গে পুনর্নির্মিত রাস্তাটির ভেঙে যাওয়া অংশগুলিকেও যথাশীঘ্র সারানোর ব্যবস্থা করতে হবে। বিষয়গুলির ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিক্রম দে, কুলবেরিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy